হে বিশ্ব, শুনতে কি পাও ক্রন্দন?
নিঃসঙ্গতায় নিঃস্ব ভ্রাতার বন্ধন।
দংষ্ট্রা দ্বারা দংশন করিল কণ্টকিফল বৃক্ষ
মিত্র আমার চিত্র দেখিল শেষ, স্বর করিল সূক্ষ্ম।
প্রান্তীয় প্রাপক পত্রাশায় আছি বসিয়া
প্রেষক সাজিয়েছো অগস্ত যাত্রায় নাহিয়া।
ক্রন্দন ধ্বনিতে গগন-ভূবন সংশ্লেষ
বিষণ্ণতায় পদ শিরের বিশ্লেষ।
প্রতিহার্য আজ প্রতীক্ষিত মোর প্রত্যাশা
স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল নির্দোষ তাই ছাড়বনা দীর্ঘাশা।
ক্ষয়িতা তোমার দেখিনু চিত্রপটে
সংকীর্ণতা স্বপন নিয়াছে লুটে।
কোন ভ্রান্তিতে সাবাড় করিলে তুমি
কোন পাপীকে করি বলো আসামী?
শোক প্রকাশিব কোন বুলিতে পাইনা খোঁজে অভিধানে
কোন গালিতে পরাণ পুরিবে যা নেই ভদ্র সংবিধানে।
নির্দায় তোমায় নিঃশেষ করিল নির্দয়
শূন্যতা আজ ফাঁকা করে গেছে হৃদয়।
চারটা বাজে তবুও চলিনা পথটায়
নিঃসঙ্গতায় পায়ের পাতা অসহায়।
বসিনা আর ফোয়ারার তীরে নির্বচন
নেইনা হস্তে হাস্যরসের প্রহসন;
রাত্রিতে বসিনা আড্ডায়, বলিনা আর প্রহেলিকা
নয়ন জুড়ায়না দেখে রাত্রির দীপিকা।
তারা জ্বলে প্রতি রাতে ফিরে আসে জোছনা
এই মনে জাগে ফের তোমায় পাওয়ার বাসনা।
নির্জীব প্রাণে পাহাড় সেজেছি
ঝরে নির্ঝর হতে নয়ন
দুঃস্বপ্নে কাটে প্রতিটি রাত্রি
যখন সঙ্গী হয় শয়ন।