বৈশাখের কাল ঝড়ে কাঁপে থরোথর
আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ভিজে খড়-ঘর
চৈত্রের রোদে, পঁচে সব খড়
কেঁচো হয়ে রোজ পড়ে মাথার উপর।
জোছনা আসিলে আলো পড়ে আঙ্গিনায়
বৃদ্ধা চন্দ্রিমা দেখে থেকে বিছানায়।
লোনা জলে সিক্ত সদা চোখ তাহার
কখন সপ্তাহ খানেক জোটেনা আহার,
থাকতে থাকতে শূন্য নিত্য ভুড়ি
কংকাল সেজেছে ঐ বৃদ্ধ নারী।
বৃদ্ধা মাতা মোর শ্রেষ্ঠ যুদ্ধা
লজ্জায় ঢাকে মুখ, অলীক ক্ষুধা;
বিধাতা দিয়াছে তারে একোন দীক্ষা
পায়নি ক্ষেতে তবুও করেনি ভিক্ষা।
ক্ষুধা মিটাতে যখন পায়নি কিছু
খেয়েছে, খড় পঁচে মুখে পরা নোংরা কেঁচো।
কখন খেয়েছে মাটি কখনও কাপড়
কখনও খেয়েছে বুকে পরা পঁচা খড়;
কখনো বা মূত্র কখনো বা মল
কখনও করিত একা বিষাদ কহল।
পক্ষপর বাতাসে আসিল কুভাস
ভাবছে সকলে মনে হয়েছে বিনাশ।
নগ্ন দেহটা, দেহ নেই আর
লাশ বলছে সবে কংকালসার।
চোখে মুখে মলের অদ্ভুতাবরণ
ভেবে পেয়েছ! ঘটেছে কেমন মরণ!?