ভীষণ অভিমানী, তোমার কপোলকে দর্পন করে
দেখেছি আমার কায়া তাতে, ক্ষুধার্ত দুই নয়ন ভরে।
লাল ছোঁয়াতে তোমার অলক আমার হৃদয় দিয়েছে ছোঁয়ে
তোমার অবুঝ অমন আঁখি মনের সব সুখ, দেয় বিকিয়ে।
কচু-লতির মতন নরম তোমার হাতের উষ্ণ আদর
তোমার গায়ের মিষ্ট ঘ্যারান নাসারন্ধ্রে ছোঁয়ায় আঁতর।
তোমার বুকের দুটি ভাঁজে আমার এ বুক দিয়েছি মিশে
তোমার প্রতিটি নরম ত্বকে ঠোঁট ছোঁয়েছি তৃপ্ত কিসে।
গলার ভাঁজের কারুকাজে আমার আঁখি দিয়েছি গোঁজে
গোলাপ পড়া চুলের ছোঁয়ায় মরছো তুমি প্রাচীন লাজে।
রক্ত ডোরার তোমার আঁচলে আমার মাথা দিয়েছি পুরে
তোমার দেহের উষ্ণতা মোরে ঘর্ম দ্বারা সিক্ত করে।
তোমার বিশাল নিতম্বে আজ চক্ষু পড়ে সবার আগে
আকবর থেকে কত সম্রাট ছোঁয়েছে হেতায়, পড়েছ এখন আমার ভাগে;
আমার দেহের উত্তেজনা ধবল হয়ে আকাশ ভেজায়
তোমার রাঙ্গা রক্ত লাজে নতুন করে বর্ষ সাজায়
কাল বৈশাখী বান বানিয়ে বাসি মিলন মেঘ যায় ছোঁয়ে
নতুন রবির উদয় করে তোমার-আমার নোংরা ধোয়ে।
তোমার-আমার মিলন শেষে নব কোষে ভেসেছে টিলা
প্রতিটি সতেজ অংশভাগে বর্ণিল জমে বৈশাখী মেলা।
অদ্ভুত করে বলে দিয়েছি কেমনে হলে আমার তুমি
জানুক সবে তুমি বর্ষ-রমণী, আমি বঙ্গ; নতুবা বলুক নির্লজ্জ আমি।