হটাৎ ঘুম ভেঙ্গে দেখি
আমি একা, বড়ই একা,
এই পৃথিবীতে আমি একা,
পৃথিবীর বৃত্তের মধ্যখানে
ঠিক যেন একটা বিন্দু।
আমার হৃদয় ক্ষত বিক্ষত...
আমার অন্তর রক্তাক্ত...
আমার দৃষ্টি অস্বচ্ছ...
মনে হয় ষণ্মুখে কুয়াশায় ঢাকা
চোখের থেকে ঝরছে রক্ত ধারা।
কণ্ঠনালী চিরে দিয়েছে ওরা।...
হবে না কোন প্রতিবাদের ভাষা
উচ্চারিত আমার মুখে।
সামনে আমার মৃত্যু জেনে
ওরা নিশ্চিন্তে চলে গেছে ফেলে।
হা-হা-হা, হা-হা-হা...
ওরা জানে না আমি “অমর”
আমার মৃত্যু নেই।
তবে কেন? কেন কেউ নেই?
আমার চারপাশে কেন এত আঁধার,
একী ভয়ানক বেদনার অনুভূতি
কেন চতুর্দিকে এই ভালোবাসা হীনতা?
আমি কি এক অনিশ্চয়তায় বাঁধা?
নাকি ফেলে দেওয়া হয়েছে
এক জটিল আবর্তের গোলোকে?
একী নির্মম সত্য, নাকি দুঃস্বপ্ন?
কিন্তু তারা আসছে না কেন?
যারা আমায় আবার সুস্থভাবে
বাঁচার অধিকার দেবে,
আমি নিশ্চিত তারা আসবেই,
আমি যে তাদেরই... “ মনুষ্যত্ব ”
==বিবি==