ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে রয়েছে হাজার কাগজকুচি,
তার সাথে আছে সিগারেট খাপ আর তেঁতুলের বীচি।
দেয়ালের ধারে রহিয়াছে রাখা নড়বড়ে এক খাটিয়া,
তাহার উপর চাদর, বালিশ রাখিয়াছে কেউ পাতিয়া।
শতচ্ছিন্ন, ময়লা মশারি রয়েছে গোটানো দেয়ালে,
টেবিল ঘড়িটা দেয় না সময়, চলেছে আপন খেয়ালে।
টেবিলেতে বই দুই-চারিখান, লেখার কাগজ, কলম,
আয়না, চিরুনি, পাউডার আর দন্তমাজন মলম।
চেয়ার একখান আছে বটে ঘরে, পায়া তার নড়বড়ে;
বসিলে তাহাতে সম্ভাবনা, ভাঙিয়া পড়িতে পারে।
ঘরের কোনায় রাখা আছে এক শীতল জলের কুঁজো;
কুলুঙ্গিতে ঠাকুরের ছবি, ধূপ দিয়ে হয় পূজো।
রংচটা চার দেয়ালের গায়ে কালি, পেনসিল রেখা –
ধোপার হিসেব, বাজার খরচ, আরো কত কিছু লেখা।
দড়িতে ঝুলিছে কতক কাপড়, আর বাকি আছে কিবা ?
এমন ঘরেতে কিভাবেই থাকে, থাকেই বা হেথা কেবা ?
—০০০—