বললে রাজা,‘‘শোনো প্রজা, আমার প্রতি কথায়
যে করবে প্রতিবাদ, যে না দেবে সায়;
থাকবে না তার ঘাড়ের ওপর আস্ত কোন মুন্ডু,
চাটবে কুকুর পথের ধারে তার রক্তবিন্দু ।
শান্তিপ্রিয় মানুষ আমি, রাজ্যে শান্তি চাই–
তেমন কিছু ঘটলে জেনো, আমার দায় তো নাই।”
পরের দিনই বললে রাজা, ‘‘সূর্য ওঠে উত্তরে”।
“ঠিক, ঠিক” বললে সবাই রাজার কথার উত্তরে।
ছিল পাগল এমন কিছু, বললে শুনে তারা–
“রাজার কথায় মানব না ভুল, বললে এমনধারা”
রাজা বলেন ভীষণ রেগে, “করো এদের বন্দী,
রাজ্যটাকে অশান্ত করাই এদের ফন্দি।
উঠলে সূর্য উত্তরে কার কী ক্ষতি হবে?
মিছিমিছি বাগড়া কেন আমার কথায় তবে?
এদের আমি করবো কোতল, আনো ডেকে জল্লাদ”।
জল্লাদ শুনে বলে, “আহা রে কি আহ্লাদ !
আমায় বন্দি করে রেখে তোমার কারাগারে,
আমায় কোতল করতে আবার ডাকছো আমারে !”
শুনে রাজা রেগে বলে, “জল্লাদটাও পাজি,
এদের বিচার করতে তবে আনো ডেকে কাজী”।
কাজী বলে, “নির্দোষ এরা, বলে আমার বিচার”।
রাজা বলে, “দরকার নেই এমন কাজী থাকার;
এদের তবে কোতল করুক, আসুক সেনাপতি”।
সেনাপতি বলে, “রাজার হোল কি ভীমরতি?”
বলেন রাজা, “করবোটা কী? বল এবার মন্ত্রী”
মন্ত্রী বলেন, “এরা কেউই নয়কো ষড়যন্ত্রী;
রাজামশাই, মুক্ত করুন এবার সকল বন্দী”।
তখন রাজা ছাড়ল সবে, করলো হেসে সন্ধি।
—০০০—