গাছের পাতায় যেন সিঁদুর দিয়েছে লেপে কেউ,
তখন তোমার বুকে গোধূলির রক্তাক্ত ঢেউ।
আঁধারের বুক চিরে জলে নামে কালো অজগর,
নিমেষে বিলীন হয় রক্তাক্ত ঢেউয়ের চাদর।
গাছের পাতার ফাঁকে উঁকি দেয় শশী,
কালো জল খান খান করে যেন অসি।
তখন তুমি কৃষ্ণাঙ্গিনী, অঙ্গে হীরক মালিকা;
উচ্ছল শ্যামা বালিকা তখন, অথবা দেবী কালিকা।
খেলো লুকোচুরি আঁধারে তখন, তোল হাসিরোল কল্লোলে;
চকিতে কখনো দেখা দাও তুমি, জলতরঙ্গ হিল্লোলে।
পৌষ-প্রভাতে তোমার শরীরে কুয়াশা-জড়ানো শীতের শাল–
কখনো কমলা, হলুদ, সোনালী; কখনো-বা রং আবীর লাল ।
মধ্য দিবসে আবার যখন মধ্যগগনে রবি,
শরীরে তোমার সাদা ক্যানভাসে কালো নৌকার ছবি।
তোমার রূপেতে মুগ্ধ আমি, ওগো তরঙ্গিনী গঙ্গা;
হাজার উপমা দিয়েও মেলে না তোমার রূপের সংজ্ঞা।
—০০০—