নীল আকাশটা নীল দিগন্ত ছাড়িয়ে ঝুরি হয়ে পেঁজা তুলো মেখে,
নেমে গেছে সোনারগাঁয়ের মাঠে।
ধু.. ধু.. বালুকা রাশির চিক্ চিক্ আলোক রস্মি চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেয়।
আলতো স্পর্শ করে যায় একপলক গরম ঝোড়ো হাওয়া।
সোনালী কেশরাশি মুখমন্ডলের কঠিনতাকে ঢাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে।
অসহায় ফ্যাকাসে চাওনি আজ নিথর নয়ন।
বাঁসা থাকতেও আশ্রয়হীন করেছে পঙ্কিল মানবতা।
দিন গোনে, মাস যায়, গ্রাস করে নীরব যন্ত্রণাকাতর আকুতি,
শত ছিন্ন বস্ত্রে দিন গুণে ওরা।
পশু পাখির মতই অনাগরিকী খাঁচায় বন্দী,
বিচারে শুধুই বিশ্বের অসহায় নীরবতা।
মাতৃক্রোড়ে প্রশ্ন করে শিশুর পরিচয়।
ঈশ্বর সৃষ্ট আদম সন্তানেরা আজ মানবসৃষ্ট মাকড়সার জালের ন্যায়
নিয়মানুবর্তীতায় হাঁসফাঁস, সর্বস্বান্ত।
অধিকারহীন পৃথিবীর নিস্তেজ সন্তান।
কঠিন থেকে কঠিনতর জীবন বলাকা।
ধূলিসাৎ মানবতা।
দেশ হীন অস্তিত্বের সংকটের লড়াইয়ে পৃথিবীর নাগরীকত্ব।
দাঁতে দাঁত চেপে বীরাঙ্গনার বেশে অপেক্ষারত বাগী "মেহরজবীন" আর প্রশ্ন।