অভিমান
তখনো সাঁঝের আঁধার নামেনি,
পূব আকাশের তারারা, জানান দিচ্ছে মাত্র।
দিনের পাখিরা, ফিরে যাচ্ছে তাদের নীড়ে।
দুধ-সাদা মেঘরাশি, খেয়াতরী বেয়ে ভেসে যাচ্ছে...
নিরুদ্দেশের ঠিকানায়।

দোতলার ছাদে তখনো আমি দাঁড়িয়ে।
দক্ষিনা বাতাসে, মনে লাগল বসন্তের ছোঁয়া।
অপলক নয়নে, নিজের সপ্ন বুনে চলেছি।

এক লহমায় মনে উঠল কাল বৈশাখীর ঝড়,
শরীরে বয়ে গেল বিদ্যুতের ঝলকানি,
নি:শ্বাসে বইতে লাগল...
প্রখর তাপপ্রবাহের গরম বাতাস।
অন্তরে অনুভূত হল এক অলীক সুখ।
সপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে তুমি এলে মোর দুয়ারে।
আমি ভুলিনি শরত্‍,
সেদিনের সেই প্রথম স্পর্শ, আজও ভুলিনি।

মনে পড়ে? সেদিনের সপ্নে দেখা কাহিনী,
শারদ প্রাতে, সল্প বেশি নারী,
দুয়ারে দাঁড়িয়ে কোনও এক রমণী,
তুমি প্রশ্ন করে ছিলে, কে তুমি?
আমায় চিনতে পারলেনা শিল্পী?
আমি যে রাগিনী, তোমার রাগিনী।

সুখ সাগরে, মন ভিজিয়ে
নিয়েগেলে তুমি নিজ গৃহালয়ে,
আমি যে ভুলিনি শরত্‍,
আমি যে ভালোবাসার কাঙালিনী।

সৃষ্টির নেশায় শিল্পী তুমি,
ফিরায়াছ মোরে বারে বার,
নিথর নয়নে শুধু পথ চেয়ে থাকি,
ফিরিব না আমি কভু আর।
তুমি কী জানতে না শরত্‍ ?
আমি কত অভিমানিনী!
  
- ফারুক মল্লিক