আমি জানালা পাশে-
বরষার রূপ দেখিয়াছি, বর্ষার চোখে।
অঝোর ধারায় প্রবাহিত ব্যাকুলতা,
যেন আকুতি গ্রীষ্মের তাপদাহ নিবারনে।
আকাশের বুক চিরে ব্রজধনী তার আর্তনাদ,
নিরুপায়.... নিরুপায়....ক্ষমা কোরো আমারে।
ধরণী মাতার হৃদয় পিঘলিত।
মনোতোষ নির্বাক, পাগলা গারদে।
বুঝিনি তোমার ভাষা, তোমার স্বরূপ,
বুঝিনি তোমার প্রেম, সেকি অপরূপ।
মনোতোষ...মনোতোষ... শুনতে কি পাও,
বিহ্বল বর্ষা আজ, জ্বালা মেটাও।
বর্ষার নয়ন দুটি বরষায় ভাসে,
আকুল হয়ে শুধু পাগলকে দেখে।
পাগলের হাতখানি রঙ-তুলি ধরে,
গারদের দেওয়ালতে, বর্ষাকে আঁকে।
নিরুপায় বর্ষা, দগ্ধ বারে বার,
পাশের গারদে ঠাই মনোতোষ রাই।