জানিনা, প্রেম কাকে বলে।
বুঝিনি, ভালোবাসা কাকে বলে।
তবে যেদিন তুমি আমাকে দূর থেকে দেখে, প্রথম হেসেছিলে,
বুকের মাঝে সমুদ্রের উচ্ছ্বল ঢেউ আছড়ে পড়েছিল আনন্দে,
কুয়াশায় ভরা হিমশীতল হৃদয়ে, মেখেছিলাম পাগল করা উষ্ণতার পরশ।
দেখেছিলাম আলোর দিশা।
মনে হয়েছিল, সুবিশাল পৃথিবীর বুকে আমার থেকে সুখী আর কেউ নেই।
যেদিন প্রথম আমার পাশে এসে বসেছিলে,
সুখের সাগরে ভেসে, আমার মত আনন্দিত,
এই পৃথিবীতে বোধহয় আর কেউ হয়নি।
মনে হয়েছিল, তুমি শুধু আমার পাশে নও,
সর্বদা আমার সাথে, আমার কাছে আছো ।
গোলাপের পাপড়ির ন্যায়, তোমার হাতের প্রথম স্পর্শ .....
অমৃত ধারা হয়ে শরীরের প্রতিটি অনুভূতিময় অঙ্গকে করেছিল
স্বপ্নাতুর, আবেশময়।
হৃদয়ের অলিন্দে আজও বয়ে চলেছি সেই নৈসর্গিক অনুভূতি।
তোমার কন্ঠের প্রতিটা শব্দ, শারদের সুরে,
হৃদয়ে প্রবেশ করত নিশিদিন।
স্বপনে, জাগরণে মেঘবালিকার মত পেখম নৃত্যে ভেসে বেড়াত
তোমার সৌন্দর্যের অবয়ব।
কাশফুলের মত হিল্লোলিত হত
শিশির ভেজা স্বপ্নময় কল্পনা।
তোমার উষ্ণ নিশ্বাসের প্রতিটি ক্ষণ
আমাকে বোকা বানিয়ে দিত ।
তৃষ্ণার্ত মরুভূমিতে
পিপাসার অন্ত ছিলনা।
আজ শুধু তুমি নেই .... !
নিঝুম রাতের তারাদের মাঝে খুঁজে ফিরি তোমায়।
মনের জানালা খুলে, তোমায় দেখি চাতক পাখির মত ।
স্বপ্নীল আকাশের মত ছিল তোমার প্রেম।
আজ বুঝেছি, আমি তোমায় সত্যি ভালবাসি ।
শয়নে, স্বপনে, গভীরে, গহনে
আজও অনুভব করি তোমায়।
আকাশের ধ্রুব তারার ন্যায় আজও প্রজ্জ্বলিত
তোমার অস্তিত্ব।
জ্যোত্স্নাি চাঁদের রাতে, আমার বুকের মাঝে
শিউলি ফুল হয়ে, আজও ঝরে পড়ে
তোমার একমুঠো ভালোবাসা ।
আজও অনুভব করি তোমার নয়নের মাঝে
আমার দুই নয়ন ।
যেন অতৃপ্ত আঁখিতে অমৃতের চুম্বন।  
- ফারুক মল্লিক (সত্ব সংরক্ষিত)