তৃষ্ণার্ত জীবনে তোমার ভালোবাসার একফালি চাঁদ
বিকিরণ করেছিল হৃদয়ের অলিন্দে।
জ্যোত্স্না-বৃষ্টিতে স্নান করেছি গহীন ভালোবাসায়।
হৃদয়ের গলিতে নৌকাবিহার করেছি
অমৃতের সন্ধানে।
জীবনের একচিলতে উঠানে,
প্রেম জোয়ারে ভেসেছে দুটি মন।
হৃদয়ঙ্গম করেছি সূক্ষাতিসূক্ষ অনুভূতিকে।
সহসা দিশাহীন বিচিত্র ভাঁটার টানে
হঠাত্ থমকে যায় জীবন।
অসহায় হয়ে দেখেছিলাম, আমাকে লুকিয়ে
গোপন অভিসারে, কালো গাড়িতে,
কালো পাহাড়ে, তোমার অবাধ যাতায়াত।
গর্বের ভালোবাসার বিশ্বাসটা
প্রথম হোঁচট খেয়েছিল ।
এক বিষন্ন মেঘলা দিনে যখন বললে -
“কিছু মনে কোরোনা, তোমাকে আমার ভাল লাগে, তবে ভালবাসিনা,
তোমার সাথে আমার নিগূঢ়ভাবে কাটানো সময়কে, টাইম পাস বলতে পার।
জীবনে আমি আমার নিরাপত্তা আর উন্নতিটা আগে দেখি”।
আকাশের বুক চিরে, বজ্রবিদ্যুত্ হানা দিল ভালোবাসার বুকে।
ভালোবাসার আঙিনা দাউ দাউ করে জ্বলছে …..।
প্রতারণার লেলিহান শিখা, ময়ালের মত আস্টে-পিস্টে জড়িয়ে ধরেছে
বিশ্বাসের এক টুকরো সম্বলকে ।
মমতাবিহীন চক্ষু মিচকে হাসে মায়াবী বাতাসে।
পাংশু মুখটা ঘরের অন্ধকার রুক্ষ কোণে লুকিয়ে পড়ে ।
ঘেন্না হয় নিজের প্রতি ।
আমি দিতীয় কি তৃতীয় জানিনা,
পরে বুঝেছিলাম আমার ক্রমিক সংখ্যাটা....
নিঃশব্দে সরে এসেছিলাম ।
ঘৃণিত মননে অন্ধকার পাতালে ডুব দিয়েছিল
ভালোবাসার অহংকার।
অতল সমুদ্র মাঝে ছারখার স্বপ্নবোনা কঠিন বাস্তব।
প্রশ্ন চিহ্নে আজ হৃদয়ের বন্ধন।
এক জীবন্ত ক্যানভাসের মাঝে যেন
প্রানের শূন্যতা।
মনের যন্ত্রনাটা আজও বোঝাতে পারিনি।
না, কেন চলেগেছ তা নিয়ে কোনদিন প্রশ্ন করবনা।
এক কোনা রোদ্দুরে বসে কোনও সময়
আমার ভালবাসাকে অনুভব কোরো।
স্মৃতির চিলেকোঠায় ঐ যে ক্ষীণ প্রদীপ শিখা ?
আজও জানান দেয় তোমার যাযাবর কালো মনের অস্তিত্ব।
-ফারুক মল্লিক (সত্ব সংরক্ষিত)