৯৩
দূরের জানালা
পথটি গেছে বাড়ির সামনে দিয়ে
পথটি গেছে মাঠ পেরিয়ে বন …
বাড়ির পিছনে জোড়া তালের গাছ
বাড়ির সামনে করবী-কাঞ্চন ।
পথের বাঁদিকে দিঘির জল কী নীল
বুকে পড়ে তার আকাশের নীল ছায়া ।
বকনা গোরুটি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে
দু’টি কালো চোখে শ্যাম- শ্রাবণী-মায়া ।
সজনের ডালে বসে আছে হর্ত্তেল
লাউ-ডগা সাপ সোঁদাল গাছের ঝোপে ।
ঝঁ ঝাঁ রোদ্দুরে কাঁপছে দুপুর-দেশ
গেরোবাজটি চুপটি করে খোপে ।
বালির নদীটি আজকে দুঃখ খুব
পথিকের বুক তৃষ্ণায় যায় ফেটে ;
তপ্ত হাওয়া যেন পাকা শয়তান
ঘূর্ণি তুলে উড়িয়ে ধুলো, ছোটে ।
পথিক চলেছে রাস্তা তামার টাট ;
বটের ছায়া বলছে একটু বসুক ;-
কী করে বসে ? ঝুলিতে কাঠ-পুতুল,
দূর জানালায় আঁকা যে মেয়ের মুখ ।
৯৪
আমাদের মামারা
দরজায় ঘা-মারা
শুনে কাঁপে মামারা ।
জাগে সারাটি রাত
শুকোয় বাড়া ভাত ।
হাওয়া নাড়ে ডাল
গায়ে জড়ায় শাল ।
ফুটলে ফুলগুলি
কানে দেয় অঙ্গুলি ।
যখন ম্যাঁউ ডাকে
দমটা বন্ধ রাখে ।
দেয়ালে ছায়া পড়ে
জয় শ্রীরাম করে।
যেই ডাকাত পড়ে
আর থাকে না ঘরে ।
ভূতেরা ভালো নয়
বিশ্রী দেখায় ভয় ।
বরং ভালো ডাকাত
ঠেঙিয়ে কুপোকাত ।