৮৯
ব্যাকরণের ফাঁড়া

“হ্যাঁরে নিধিরাম, বল তো কী করিস আজকাল ?”
“এঁজ্ঞে, ওই বাজার-গঞ্জে বেচে বেড়াই তাল ।‘’
“সে না হয় শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে । তারপর কী ?”
“এঁজ্ঞে  দুধ, দই, ক্ষীর, ঘোল, ছানা আর ঘি ।‘’
“এবার বল, কী করে তোর গুণধর ভাই ছিদাম ?”
“এঁজ্ঞে বোছেক-জেষ্ট মাসে বাজারে বেচে আম ।‘’
“তো ওই আম ফুরোলে লাগে সে কোন কাজে ?’’
“বাঁশি-কাঁসি বাজায় । সখীর দলে কেষ্ট সাজে ।‘’
“বাঃ ! হ্যাঁরে তোদের দু’ভায়ে আছে তো ভাব-সাব ?’’
“তা আছে এঁজ্ঞে, তবে আমাদের কুন্দুলে স্বভাব ।“
“হুমম... শুনেছি তোদের পদবী নাকি সর্দার ?’’
“ঠিক জনি না বাবু, তবে কিনা বাবার ও বড়দার ।‘’
“হ্যাঁরে লড়াই-টড়াই করিস ? নাকি শুধুই  ঘুমোস ?
“এঁজ্ঞে পড়ে বেদম ঘুমাই। বউ বলে আমি মোষ ।‘’
“দিনকাল বদলেছে, তোরা সেই থেকে গেলি একই ।“
“না বাবু ফি-ভোরে পাতার আড়ে সুজ্জি ওটা দেখি ।“
“ওরে ওরে,  বেশ বুঝতে পারি তোর অবস্থা বেহাল ;
না আছে কোনো ঢাল তোর, কিংবা তরোয়াল ।‘’
“এঁজ্ঞে, বাবু এক্কেরে হক কথা বলেচেন, হাত খালি
হাতেই করি হাতাহাতি আবার  হাতে বাজাই তালি ।‘’
“সে যা খুশি কর । কাটবে না তোর ব্যাকরণের ফাঁড়া ;
কখনো ঢাল-তরোয়াল পায় না হয় নিধিরাম যারা ।‘’
“এঁজ্ঞে কী করে জানলেন গো বাবু, আপনি কী গুণীন ?
“নিধিরামদের ঢাল-তরোয়াল থাকে না কোনোদিন ।‘’

৯০
গোষ্ঠর কীর্তি

গোরুকে জাবনা দেয়
গোষ্ঠ ভেজায় খোল ;
হঠাৎ তার ভাবনা-ঢাকে  
ঢ্যাং কুড়া কুড় বোল ।

সন্দেহ নেই খোলে,
আছে দারুণ ভিটামিন ।
গোরুগুলো তাগড়াই
তাই হচ্ছে দিন দিন  ।

ডাবায় ঢেলে দিল গোষ্ঠ
ভাত ও মাছের ঝোল ;
হাণ্ডা তুলে চুমুক দিল
ভিজিয়ে রাখা খোল ।