৮৩
গাধা-ভাইয়ের দাদা

সন্ধ্যা রঙে রঙিন আজকে দোলমেলা
রঙে ডুবন্ত গ্রাম বর্ণ-মাধুরী খেলা ।
পাতার ফাঁকে চাঁদ হঠাৎ উঁকি-ঝুঁকি
দু’বন্ধু পাশাপাশি, রঙের ঘোরে সুখী ।
হাঁটছি গাইছি গান, ভাবনা-চিন্তাহীন
আজ যেন পৃথিবীর শুভ জন্মদিন ।
ছায়া-মাখা বনপথ লাগছে না তো ভয়
পিছু নিয়েছে চাঁদ কী যেন কী সংশয় ।
ফিসফিসফিস কথা গায়ে দিচ্ছে কাঁটা
পিছে তাকানো মানা, সজোরে দিই হাঁটা ।
তেনাদের কাণ্ডাকাণ্ড ভালো আছে জানা
ঘোরাল বায় লাগে ফেলে ডোবা-খানায় ।
হঠাৎ একটা লোক বেরোয় ঝোপ থেকে
দাঁড়িয়ে পড়ল লম্বা আমাদেরকে দেখে ।

“এঁ সঁময়ে  জ্যাঁন্ত মাঁনুষের আঁনা-গোঁনা বাঁড়ে
কীঁ যেঁ বিচ্ছিরিঁ লাগেঁ ভাঁই বলঁব আরঁ কারেঁ ।
ভাঁগ্যিস আঁপনাঁরা এলেঁন, মাঁনুষঁকে ভঁয় পাঁই
চঁলেন দাঁদারা আমঁরা এঁখন গোঁরস্তানে যাঁই ।
মাঁনুষ দেঁখলে ইঁচ্ছে করেঁ মটঁকে দিই ঘাঁড়
মেঁলার সঁময়টায়ঁ ওঁদেঁর বঁড্ড বাঁড়ে বাঁড় ।“

দু’জনে তখন অজ্ঞান, তাল ধুলোয় ধুপ-ধাপ ;
জ্ঞান ফিরলে চেয়ে দেখি মুখে দুধের কাপ ।
হাসি মুখে বসে আছে, পিশতুতো গেনুদাদা
“হ্যাঁরে দাদাও অচেনা ? তোরা কী আস্ত গাধা ? “

“গাধা-ভাইয়ের দাদা যদি হয় রং মেখে অদ্ভুত
ভুল কী হয় যদি ভেবে বসি সত্যিকারের ভূত ?”


৮৪
ভুজঙ্গবাবুর মাথা গরম

ভুজঙ্গবাবুর মাথা গরম
বলেন তাঁর স্ত্রী ;
পরখ করতে নিজের মাথায়
বসালেন ইস্তিরি ।

মাথায় বসান চায়ের কেটলি  
মধ্য রাতে উঠে ;
চা-ছাকনি-পেয়ালা রেডি ,-
জলটা কই ফোটে ।

গিন্নি বড়ো ফালতু লোক
সবই গুল-গাপ্পা ;
জ্বালানি খরচ বাঁচল কৈ ?
রেগে হলেন খাপ্পা ।