৭৭
শ্রী চামুণ্ডাতোষ হাতি ও পঞ্চু পাইকার

ভয়ঙ্কর  দুশ্চিন্তা এখন শ্রী চামুণ্ডাতোষ হাতির
টাট্টু ঘোড়া কিনতে হবে বায়না ছোট নাতির ।

পঞ্চু পাইকার হেসে বলে, “চিন্তা কিসের দাদা ?
মালটা সরেস পাবেন কিন্তু দামটা পড়বে ইয়াদা ।“

“তা হোক ভাই, এখন তো বাঁচাও আমার খাতির,
অতি আদরের নাতি আমার, বংশে দেবে বাতি ।“

পরের দিনই দেখেন বাচড়া উঠোনে আছে বাঁধা ।
চামুণ্ডা বলেন, “পঞ্চু, এ যেন আব-ভাবে এক গাধা ।“

“গাধা ! কী যে বলেন দাদা ? ও যে মস্ত অভিনেতা ;
এখন করছে, গাধার পাট, আর এটাই এখন কেতা ।
মঞ্চে নেতার বাণী শুনে শুনে রপ্ত করেছে কায়দা,
ঘোড়া পেলেন গাধাও পেলেন,  ডবল হল ফায়দা ।
কবে দেখবেন নেতা সেজেছে, কে আপনাকে পায় !
খাতির হবে বাড়-বাড়ন্ত  যখন বেরোবেন রাস্তায় ।
কোষ্টী-ঠিকুজি বলে রাখি, ইনি মহারাসভ-বংশজাত …
বাহনগুণে তো বটেই আর জ্ঞানেও জগৎ-বিখ্যাত । “

*বাচড়া> ঘোড়ার বাচ্চা

৭৮
চন্দ্রকান্তের চিন্তা

দাদুর দাদুর দাদুর দাদুর দাদুর দাদুর দাদু …
তার কে হয় ? তার কে হয় ? ভেবেই ভ্যাবলা চাঁদু ।
ভাবতে ভাবতে ভাবতে ভাবতে পাকল চুল ও দাড়ি ;
ছাড়ব ছাড়ব ছাড়ব ছাড়ব করেও ছাড়েনি বাড়ি
জানবে গভীর ধ্যান-যোগে, তাই হতে চেয়েছিল সাধু ।
সেই চন্দ্রকান্তই আজ কিনা সাত নাতি নাতনীর দাদু
দাদুর দাদুর দাদুর দাদুর দাদুর দাদুর দাদু …
একদিন যে সেও হবে এই সার জেনেছে চাঁদু ।