৭৫
গুপীর কেশপুর
তেরে কেটে ধিন তাক, চক চকে টাক ;
কেশপুর জঙ্গল কবে হল ফাঁক !
পকেটে চিরুনি থাকে টাকে পড়ে চাষ
দেশ থেকে কেশ গেল আছে অভ্যাস ।
সুযোগ পেলেই কেউ টাকে মারে চাটি ;
কী করে শ্বশুর বাড়ি ! জীবনটা মাটি ।
শ্যালিকা আয়না ভাবে টাকে দেখে মুখ
বউয়ের মুখেও দেখি চাপা কৌতুক ।
পরচুলো কেনা চাই পুরো রাখ-ঢাক
সলমন খান সেজে লাগাবেই তাক ।
সাত দিন পায়ে হেঁটে ঘুরে মার্কেটে
কিনেছে সে পরচুলো তাক তেরে কেটে ।
পরচুলো যেন টুপি, পরে চুপি চুপি
নিজেকে যায় না চেনা, থমকায় গুপী ;
শ্বশুরের বাড়ি চলে মন খুশি খুশি ।
কোথায় দেখবে মুখ শালী ঊর্বশী ?
হাসি হাসি মুখে ঢোকে শ্বশুরের ঘরে ;
দেখার ইচ্ছে খুব বউ চেনে কী করে ?
গুপীকে দেখে তো বউ চিল-চিৎকার ...
চোর চোর চোর চোর মার শুধু মার ;
খুলে গেল পরচুলো, ফ্যাঁচ কাঁদে গুপী,
"আমি আমি আমি", শুধু বলে চুপিচুপি
হ্যারিকেন জ্বেলে আনে বউ আলু-থালু
দেখে গুপী ফলিয়েছে টাকে গোল আলু ।
৭৬
গরম মশলা
“হাঁদু, এক ছুটে দোকানে যা,
আসল জিনিস হয়নি কেনা,
গরম-মশলা না দিলে বাপ
কষা মাংসই জমবে না ।
হাঁদু বলল, “ও মা, ও মা, দোকানটা যে বেশ দূরে,
কী করে আনব গরম-মশলা ? হাত যদি যায় পুড়ে !
তা ছাড়া ধরো, আনতে আনতেই ঠাণ্ডা যদি হয় ?
ঠাণ্ডা-মশলা দিলে মাংস জমবে না নিশ্চয় ?”
মা উঠলেন চেঁচিয়ে, “হায় রে,
আমার পোড়া কপাল !”
হাঁদু দেখে ফোস্কা তো নেই,
কপাল সিঁদুরে লাল ।