৭১
স্বল্পাহারী বংশীলোচন

বয়স তো আর কম হল না, মেপে-চেপে খাওয়া,
অনেকটা প্রায় দায়ে পড়েই কাজ-বাড়িতে যাওয়া ।
বংশীলোচন ঠিক করেছেন, খাবেন এবার অল্প ,
খাওয়ার চেয়ে ঢের ভালো, খাওয়া-দাওয়ার গল্প ।
ব্যাচের পর ব্যাচ বসছে, শেষে বসতে হয় তাঁকে।  
লৌকিকতা যে মেনে চলেন ; বোঝাবেন বা কাকে ?
খান-পঁচিশেক রাধা-বল্লভী, চিকেন-বাটার-মশলা,
ধু ধু মরুভূমি পেটে তো সেটা, বৃষ্টি দু’এক পশলা ।
কোর্মা, কারি, মাটন চ্যাপ, চিংড়ি-মালাইকারি ...
সব হাল্কা-পল্কা আইটেমে হয়, পেট কী আর ভারি ?
শিক-কাবাব,  চিকেন পকৌড়া ও মাটন বিরিয়ানি,
খান-পনেরো চিতল-পেটি তো যৎসামান্য জানি ।
কর্তা বলেন, "ইচ্ছে করুন দু'চারটে ইলিশ-পাতুরী ।"
জোরাজুরিতেই খেতেই হল, বেশি না, খান-কুড়ি ।
ল্যাংচা, সন্দেশ, কাঁচাগোল্লা এবং খেলেন বরফি ...
পাঁপড়, চাটনি, সের দুই দই, বারোটা মালাই-কুলফি ।
লোক-লৌকিকতা মানতেই তো, খেলেন যৎসামান্য ;
সুগার আছে যে ! গিন্নির কথা, অবশ্য করেন মান্য ।  

৭২
খাঁদুর সমস্যা

                 সংসারে আর একটুও মন বসে না খাঁদুর
                 মনে ভাবে ঢের হয়েছে এবার হবে সাধু ।
মহাবীর, বুদ্ধ এবং নিমাই                বিয়ের পরেই নিলেন বিদায় ,-
                             যখন গভীর রাত ;
ঝামেলাটা আছে জট পাকিয়ে            এখনো যে তার হয়নি বিয়ে,
                             বয়স মাত্র সাত ।
                সুরাহা কিছু করতে পারে একমাত্র দাদু ;
                পাড়ায় আছে যোগ্য পাত্রী দু’বছরের রাধু ।