৬৭
আলো ও ঝাড়বাতি
সকাল বেলায় এলো সূর্যের আলো ;
ঝাড়বাতি দেখে বলে,“কী খবর ? ভালো ?”
পাতার আড়ালে আলো মুখ হাসি হাসি ;
“ভালো আছি বলেই তো রোজ ভোরে আসি ।“
“যা বলো ভাই, সূর্যের মন্দ বরাত ;-
বেচারা ফুটুস হয়, যেই নামে রাত ।
দিনে যত জারি-জুরি ভয়ে কাবু রাতে ...
নাচ-গান-উৎসব আমার সভাতে ;
অহো কী জেল্লাদার রং বেলোয়ারী !
দেখলে মূর্চ্ছা যাবে বলতেই পারি ।
আলো ছড়ায় ছড়াক, কেন উত্তাপ !
সারাদিন জ্বলে-পোড়ে, কার অভিশাপ ?
পাঠালে শিখিয়ে দেব আলো কারুকাজ ;
সেকেলে ব্যাপার আর চলে নাকি আজ ?
সভ্যতা মানে বোঝো ? রাত্তির-রঙিন ...
এ সব বোঝে না যারা, তারা বোধহীন ।“
আলো হেসে বলে, “ভাই, বলেছ দারুণ ;-
অতিরিক্ত বোঝাটাই অবোধের গুণ ।“
৬৮
গুপী
পুবদিকে যে সূর্য ওঠে
সেটা জানে গুপী ;
মাঝ রাতে ঘুম ভাঙল
চলল চুপিচুপি ।
সূর্য-বাড়ির চারদিকে
সূর্যমুখী ফোটে ;
সূর্যবাবু ঘুমিয়ে পড়লে
কিরণ-পরী জোটে ।
বাইরে দেখে অন্ধকার
ঘুট ঘুট্টে কালো
সূর্য দেখার জন্যে একটা
সঙ্গে নেবে আলো ।
নদীপারের বন পেরোলে
পোড়ো পাঁচ থুপী
সূর্য দেখার জন্য নিল
কেরোসিনের কুপী ।