৬১
কথোপকথন ২
“এদিকে নতুন মনে হচ্ছে ? জানতে পারি মশাইয়ের ধাম ?”
“এঁজ্ঞে নাম শ্রীমান গন্ধমাদন, আর বাবা শ্রীশ্রীগোবর্ধন দাম ।“
“ওহো গন্ধর্বপুর, নামটি শোনা, বলি হাতে কী ওটা ? ঢাল ?”
“ধুস ! ঢোল বাজাব কোন দুঃখে ! ঢাকেই তো করি কামাল ।“
“ঢাকা ? তাই বলুন । হ্যাঁ, ওতে তো ছত্রেরও কাজ চলে ।”
“ছাত্র ? তা মশাই আছে গুটি কয়েক । আমাকেই গুরু বলে ।“
“গরু কিনবেন ? আমার কাছে ? একটু বেশি পড়বে দাম ।“
“দামুন্যা ? শ্বশুর-বাড়ি । শ্বশুরের স্যাঙাত কবি মুকুন্দ রাম ।“
“আকন্দ ফুল ? কী কাজে লাগে ? ব্যোম ভোলারই শুধু পছন্দ ।“
“ছন্দা ? আমার আইবুড়ো শালী । গায়ে পিউলি ফুলের গন্ধ ।“
“কী ? কী ? আমাকে অন্ধ বলছেন ? তাহলে আপনি কালা, কানা ।“
“ কালু-কানাই তো আমা্র শালা । কী আশ্চর্য ! এটাও আপনার জানা । “
৬২
তালেবর বুড়ো
পাকা তাল ছোঁয় না, বুড়ো তবু তালেবর ;
“আমাকে বুঝতে বাপু উঁচু মগডালে চড় ।“
গাঁ-গঞ্জের লোক তো পড়ে গেছে ভাবনায়,
ঘটি-বাটি যায় যাক, বুড়োটাকে বোঝা চাই ।
ঘরে ঘরে বলে দিল, সক্কলেই চালে চড় ...
ফাঁকি না দেয় বুড়ো, গুণটানা জালে ধর ।