৫৫
মহান শিল্পী হৃদয়নাথ
হাঁদু তো নাম-করা শিল্পী, জল রংই মাধ্যম ;
শিল্প-বুঝদারের মত, - কী অতুলনীয় ঢঙ !
ছায়া-মায়ার কল্প জগৎ রেখার টানে টানে,
বিমূর্ত ঐ শিল্প-কদলী ক’জন বোঝে মানে ?
দিন-পনেরো ধরে চলছে শিল্প-প্রদর্শনী ;
তুঙ্গে এখন বৃহস্পতি পাত্তা পায় না শনি ।
একসাথে স্কুলে পড়তাম আঁকত ঘোড়া-হাতি --
"ঘোড়ার মাথায় শিঙ কেন রে ?" বলত, "অন্য জাতি ।"
সেই হাঁদুই নামজাদা শিল্পী দেখা কতকাল পরে ;
নিছক কৌতূহলে সে দিন ঢু দিই আঁকার ঘরে ।
শিল্প-মর্তমান না বুঝি দেখব ছবি আঁকা --
চিনলেও কী আর পাত্তা দেবে ? হাঁদুর দেদার টাকা ।
নাম-ধাম-কাম বলতে কিন্তু খুশি হৃদয়নাথ ;
উষ্ণতায় কোনও ভান ছিল না জড়িয়ে ধরল হাত ।
“তুমি তো এক মহান শিল্পী, আঁকার হাতটি পাকা,
তোমার দানে পুষ্ট শিল্প কদলীগাছের শাখা ।“
হাঁদু বলল, “শোন, কোনও ছবি এ শর্মার আঁকা নয় ;
আমার কাজ শুধু বিন্যাস আর স্বল্প সমন্বয় ।
জার-ভর্তি আরশোলাদের ডোবাই নানান রঙে
ক্যানভাসে জুড়ে ওরাই ছবি এঁকে যায় নানা ঢঙে ।
প্রতিভাতে সব এক একটি ভাই পিকাশো কিংবা দালি !
আমার খরচ যৎসামান্য ওই নকুল-দানা খালি ।“
৫৬
মদনের ভারি মনস্তাপ
মদনের ভারি মনস্তাপ ;
তারই শুধু কাজের চাপ --
সে যেন এক ধোপার গাধা,
যে যা পারে চাপায় ।
মেনে নিয়ে এই অভিশাপ ;
ঘন্টা-পিছু পনেরো কাপ,
দু’ চোখ বুজে বেঞ্চে বসে --
পা দোলায় আর চা খায় ।