৪১
# বাঙালীর অদৃষ্ট #
মা ডাকটা বড্ড সেকেলে, 'মাম্মী' বলে ডাকো ।
ভুলে যেওনা তুমি কিন্তু সাহেব পাড়ায় থাকো ।
বাংলা বলে অশিক্ষিত আর গাঁইয়া যত লোক ;
মনে রেখো ইংরাজীটাই তোমার পাখির চোখ ।
ছাই-পাঁশ কিছু লিখে গেছে ঐ দাড়িওলা লোকটা ।
বাপের ছিল দেদার টাকা ; ওদিকেই ছিল ঝোঁকটা ।
কবে একটা নোবেল-প্রাইজ, গড ! এখনও হাত গন্ধ ।
হুজুগে মাতে ব্যাক-ডেটেড আর যত আঁতেল-অন্ধ ।
রিয়েল সেন্স এখনোও যদি রবীন্দ্রনাথ বাঁচতেন ;
বাংলায় কচু-ঘেঁচু না লিখে ইংরাজীতেই নাচতেন ।
ইংরাজীটা ভালো শিখলেই স্ট্যাটাস, বাড়ি-গাড়ি ;
চাই কী একটু চেষ্টা করলে স্টেটসেও দেবে পাড়ি ।
সিলেবাসে কেন বাংলাটা ? ধ্যুস, ফালতু সময় নষ্ট ;
কবির বুকে রক্ত-ক্ষরণ ; হায় ! বাঙালীর অদৃষ্ট !
৪২
শ্রাবণী
ফুল নামেই ডেকেছি ফুলকে ;
সে ডাকে ছিল কোনও ভুল কী ?
ঝিক মিক হয়ে গেল উল্কা ...
আকাশে ছড়ালো এলো চুলকে ।
নীলাভ মেঘে ঢাকা অম্বর,
কী বৃষ্টি-বালিকা স্বয়ম্বরা ;
দিকে দিকে বেজে ওঠে ডম্বরু ...
কবরীতে কদম্ব কাদম্বরী ।
ভাঙে ঘুম, দৈত্য গর্জায় ;
অপার আকাশ-গাঙে বজরা ...
মায়ারঙ ছায়াদূর নির্জন ;
চলমান বজরা তাঁর মর্জি ।
ঈর্ষা ঐ ছায়াময়ীর বরকে,
তবে আজ নয় কোনও তর্ক ।
আনন্দে চোখে জ্বলুক চরকি ;
ঝির ঝির হিরেফুল করকা ।
# লেখাতে কোনও ভাষাকে বা ব্যক্তিকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য নেই ।
এটি নিছক ছড়া । উদ্দেশ্য যদি কিছু থেকেই থাকে রসিক পাঠক উদ্ধার করবেন । #
ধন্যবাদ ।