১৯
গোপালগোবিন্দ পাল
গোপালগোবিন্দ পালের
গালে গাল-পাট্টা ;
গামলা ভর্তি পায়েস
রুটি খায় ষাটটা ।
মনে পড়ে সেবারের
বিয়েবাড়ি সিংদের
কে করে বরের কদর ?
কদর গোবিন্দের ।
লুচি বোঁদে পোলাও
ধুপ-ধাপ বর্ষা ...
দিতে দিতে হয়রান
নিমেষেই ফরসা ।
কর্তা চেয়ারে বসে
দেখছেন সে ভোজন ;
চেঁচিয়ে বলেন ডেকে
ফের কর আয়োজন ।
রাত আটটায় শুরু
বাজে সকাল আটটা ;
সাময়িক চুকে গেল
ভোজনের পাটটা ।
২০
বর্ধনদার বন্ধু
বর্ধনদার বন্ধু ছিলেন
পণ্ডিত গোবর্ধন পাণ্ডা
আন্দামানে পৌঁছে সেবার
বাঁধালেন এক কাণ্ড ;
ইচ্ছে জারোয়াদের জন্য
গড়েন প্রকাণ্ড চণ্ডীমণ্ডপ
সঙ্গে এক ন্যাড়া মুণ্ড
এবং পঞ্চ চ্যালা-চামুণ্ডা ।
মণ্ডপে শিলাখণ্ড না,
চাই জ্যান্ত জারোয়া চণ্ডী ।
মণ্ডপে প্রচণ্ড চণ্ডী
শুরু করে দিলেন তাণ্ডব ...
মণ্ডপ করে খণ্ড খণ্ড
যত জারোয়া দণ্ডধারী ;
মাটির ভাণ্ডে পাণ্ডা খান
তুণ্ড বকচঞ্চুর আণ্ডা ।