১৭
নন্দী ও শিবের বাংলাজ্ঞান
ভোলানাথ বলেন নন্দীকে
“সটকাবি এখন কোনদিকে ?
এখনই সোজা বাংলা যা ...
না যাবি ডান বাম দিকে ।
খোলা রাখবি দু’চোখ কান
হেঁড়ে গলায় গাইবি না গান ;
গানের টানে জুটবে ছাগল,
পাবি না তখন পরিত্রাণ ।
কলকাতার চাঁদনী শিবির ;
চাই মোবাইল এল এস টিভি ;
ছ্যাঁচোড় লোক দাম চাইলে
আর্শীবাণী ঠেকিয়ে দিবি ।
কাছা দিয়ে পরিস ধুতি
বাসে ট্রামে গুঁতোগুঁতি ...
সামলে সুমলে থাকিস বাপু
কখন ঘটে কী বিচ্যুতি ।
নানা পোশাক নানা লোক
টেরিয়ে তোর যাবেই চোখ,
কোত্থাও নাক গলাবি না
যেখানে যা হচ্ছে হোক ।
ভ্যেবলে গেলেই গণ্ডগোল
মাথা মুড়িয়ে ঢালবে ঘোল,
ঘুরিয়ে তোকে নাক দেখাবে
মুরগী ভেবে রাঁধবে ঝোল ।“
নন্দী বলল শিবকে ...
“বাবা জানি মর্ত্যের জীবকে
টঙ্কা ছাড়া কিছু বোঝে না ;
পাত্তা দেয় না গরীবকে ।
মুদ্রা কিছু দিন বাবা
ইচ্ছে খাই শিক-কাবাব ;
হাতে মাল-কড়ি থাকলে
মেজাজটা হয় নবাব নবাব ।“
“বলদ চরিয়ে মাথায় গোবর
নাচের মূদ্রা নেই কী তোর ?
আসলি মুদ্রা চাইলে বাপু
লাগিয়ে দিস ভাবের ঘোর ।“
“বাবা দেখছি কাছা খোলা ;
সত্যি সত্যি ব্যোম ভোলা ।
ভাবে ভবি ভোলায় নয়
বাংলার যত শ্যেয়ানা পোলা ।“
১৮
সতুরা সাত ভাই
সতুরা সাত ভাই সিনেমাতে নামবেই ।
ডায়েটিং করে কেউ, কেউ ভাঁজে ডাম্বেল ।
নানা কসরৎ করে আয়নার সামনে,
মনে ভাবে বিগ ‘বি’র চেয়ে কিছু কম নয় ।
কে কার নায়িকা হবে তর্ক-বিতর্ক ...
হয়ে যায় ফাইটিং ছুরি-ছোরা-সড়কি ।
দিল বেচে ভিটে-মাটি ; রাখা কী দরকার ?
হাঁটা-পথে সাত ভাই পাড়ি দিল মুম্বাই ।