১৩
গন্ধবিদ
জনার্দন পুরে বাড়ি
শ্রীবদনচন্দ্র নস্কর,
এখন তিনি গন্ধবিদ
আগে ছিলেন তস্কর ।
কে কাঠাঁল কে কাঁঠালীচাঁপা
আর কে ঘাসফুল
একটিবার গন্ধ শুঁকেই
বলে দেন নির্ভুল ।
কে নাগ ? কে নাগকেশর ?
আর কে ধুস্তুরি...
এ সব বলার জন্যে লাগে না
বিস্তর বাহাদুরী ।
কে ঘণ্টাপাটলি ? কুন্দকলি ?
আর কে কুরুবক ?
বোঝার জন্য নাক লাগে না--
দেখেই বোঝে চোখ ।
ফুল-বাহারী সাজ-সজ্জা,
সাজানো হাসি ছড়ায়...
এরা ভাঁট-ঘেঁটু-ধুতরোর
তুতো-তুতো বোন-ভাই ।
ধ্যুস ! শুঁকতে আর লাগে না
ভালো পচা ফুলের গন্ধ ;
এখন আকাশ-আলো-পাহাড় ;
শোঁকেন বদনচন্দ্র ।
লোক-জনই যদি না থাকে
হয় কী হে লোকালয় ?
মানুষে পারিজাতের গন্ধ...
অতি অল্পই হয় ।
১৪
নিবারণের ব্যাকরণ জ্ঞান
নিবারণ নিশ্চিত সে ব্যাকরণে পোক্ত
দু'চার মাসে হজম করেছে যা শক্ত ।
সাত সপ্ত হয় আর সাদা থেকে শুভ্র
রাত রপ্ত হবে আর দাদা হবে দুভ্র ।
পাতা যদি পত্র হয় তবে মাতা মত্র
খাতাকে খত্র বলে আর হাতাকে হত্র ।
লবণ যদি নুন তো ভবন তবে ভুন
বাবার নাম ভেবে-চিন্তে বলে সে পুন ।