১১
পুণ্যিপিশির জামাই

পুণ্যিপিশির জামাই নাকি
ঘাড় থেকে ভূত নামায়  ।
পরোপকার করতে গিয়ে
দু’চার পয়সা কামায় ।
সরষে লাগে মুঠোখানেক
এবং শুকনো লাল লঙ্কা ।
ঘি মধু দুধ ক্ষীর-সন্দেশ  
আর ষোলটি রৌপ্য টঙ্কা ।
স্কন্ধ-কাটা ভর যদি করে  
সে নাকি বিরাট ঝঞ্ঝাট  ;
সোনার ঘট রুপোর মালা
আর লাগে  চিতার কাঠ ।
শাঁক চুন্নীর ভর যদি হয়,
সে দারুণ ভয়ের ব্যাপার ।
সোনার ঝাঁটা, মড়ার কাঁথা,
লাগে সোনার চন্দ্রহার ।
পেঁচো-ধরা ভারি প্যাঁচালো
উফ! ছাড়ানো বেশ শক্ত ।
রুপোর থালা-বাটি ছাতা
জুতো ও ধুতির  ভক্ত ।
ব্রহ্মদত্তি  খুব সাঙ্ঘাতিক
ভারি নাছোড়-বান্দা জাত ।
পরমান্ন ও কাশ্মীরী-শালে
ব্যাটা অবশ্য  কূপোকাত ।
মায়া-অপছায়া যদি পড়ে
হুঁ হুঁ তারও আছে নিদান
লাগে মাত্র আটঘাটের জল
আর ষোড়শোপচার দান ।
ঘাড় থেকে ভূত নামাতে
পড়ে কত শত হাঙ্গামায় ;
পরোপকারী সাধুপুরুষ  
ওই পুণ্যিপিশির জামাই ।

১২
সুলতান ওসমান

পৈঠায় বসেছিল বিবিজান
কৌটোয় ছিল তার খিলিপান ।
ছই-ঢাকা নৌকোটা ভাসতেই
মৌতাতে মজে ক্ষীর ওসমান ।
ঔরৎ নাকি হুরী বউ তার ?
নৌকোর প্রসাদে সে সুলতান ।