নকুড়ের মামাবাড়ি

নকুড়ের মামাবাড়ি হাতিরাম পুর
বাড়িকে বাড়ি হাতি-পোষা নাকি দস্তুর ।
হাতি-ঘিয়ে ভাজা লুচি অহো সে কী স্বাদ ;
জিব দিয়ে ঠোঁট চাটে শ্রীনকুড়চাঁদ ।
লুচি-ভাজার কড়াইটা তো আস্ত দিঘি
একবারে ঢালা হয় আশি মণ ঘি ।
আট সের ময়দায় লুচি একখানা
যত খুশি তত খাও নেই কোনো মানা ।
নকুড় তো আটারোটা তার বোন বুঁচি
একাই সাবাড় করে  সাতাশটা লুচি ।
হাতি-দুধ ছানাতে যে পানতুয়া হয়
তার স্বাদ কোনোদিন ভুলবার নয় ।
উপরোধে নকুড় নাকি ষাটটা খায়
এক একটা তৈরি তিন সের ছানায় ।
রাতে ছানার কালিয়া  পিশ বারো খায়
একটাতে জনা তিন দিব্যি শোয়া যায় ।
নকুড়ের ফিরিস্তি শুনে আমরা তো থ
ভয়ে ভয়ে বলি, "হ্যাঁ রে ছানা হয় কত ?"
হাসতে হাসতে বলে শ্রীনকুড়চাঁদ,
"স্বপ্নে ওই জায়গাটা, পড়ে গেছে বাদ ।"


কবিতা লেখে রোদ্দুর

গাছের পাতা
          খাতা
সোনার কালিতে
সকালে
কবিতা লেখে রোদ্দুর ;
কথা-ছন্দ পড়ে থাকে
            ঘাসে-ধুলোতে-বালিতে...

দূর নদীর বাঁকে
            পাহাড়ের  ঢালে

পড়ে ফুল পাখি
         আকাশ-সমুদ্দুর...