বটবৃক্ষ
বৃক্ষটি বেশ সতেজ যখন দৃঢ় ছিল , সটান ঋজু -
গভীরভাবে প্রোথিত বেশ শিকড়গুলি
রোদ উজ্জ্বল হাজার শাখার মহীরুহ ।
আমি তার ছায়ায় কত দুঃখ নিয়ে এলোমেলো
বিনিময়ে কোঁচড়ভরে ফুল তুলেছি।
আমি তার চওড়া ডালে মাথা রেখে
আমার বুকে আটকে থাকা পাথরগুলো
পায়ের তলায় অকপটে বিছিয়ে আসি।
শক্ত পোক্ত তাহার শরীর ছুঁয়ে ,
আনমনে খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে গেছি –
ভাল কি মন্দ এসব আমার কি দায়
বৃক্ষ ঠিকই সেসব বুঝতে পারে ।
সূর্যের বয়স বাড়ে , আমার ও বয়স বাড়ে !
পড়ন্ত বেলায় যখন বিষধর ছোবল দেবে
অ্যালবামে সাদা কালোয় হলদে ছবি
খুঁজে পাওয়া কঠিন হচ্ছে ক্রমাগত।
বন্ধ দরজাটিকে ঠেলতে গিয়ে
দেখেছি বৃদ্ধ বটের স্পর্শকাতর
আমার এই আঙুল ব্যপী তাপ উত্তাপ
বৃক্ষ আজও কেমন বুঝতে পারে !
আজও পাখির মত ডানার ওমে
শীতকালে কাঁথার মত জড়িয়ে রাখে।
ঘুম পাওয়া আরাম বড়, ঘুমে যেতে শান্তি ভীষণ
বৃক্ষ আজও আছে , মাঠ নেই আর
মাঠ নেই শুধু স্মৃতির উঠোন আছে।