স্বাধীনতার
আজ সত্তর;
দিনের মুক্ত আলো
সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে স্বাধীনভাবে,
আকাশের দূর-দিগন্তে
মেঘেরা স্বাধীনতাভাবে আনাগোনা করছে,
পাখিরা যে যার বাসা ছেড়ে প্রকৃতির মুক্ত
বাতাসে ভর করে উড়ে বেড়াচ্ছে স্বাধীনাভাবে,
প্রস্ফুটিত ফুলের কোলে
রঙীন রঙীন প্রজাপতিরা মুক্ত
ডানা দিয়ে পরাগযোগ ঘটাচ্ছে স্বাধীনভাবে,
সবুজ বৃক্ষরা জন্মভুমির মুক্ত বাতাসে
ভেসে প্রকৃতির শোভা বাড়াচ্ছে স্বাধীনভাবে,
প্রকৃতি পল্লীর মুক্ত শোভা
প্রত্যেকের চিত্তে আজ স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিচ্ছে,
আর মানুষ!
মানুষের বিচরনক্ষেত্র স্বাধীন হয়েছে;
তবে স্বাধীনতার মুক্তধারাতে
আজ বিপদের সম্মুখীন ভারতের নারীসমাজ,
আমার মতো প্রত্যেক নারী আজ
স্বাধীনতার সত্তর বছর পেরিয়ে এসে
নারী স্বাধীনতার সাথে সাথে সুরক্ষার আকাঙ্ক্ষী।
দুশো বছর ধরে অত্যাচারীত হওয়া
ভারতমাতাকে শেষ পর্যন্ত তার গর্বের সন্তানরা
বিপ্লবীদের রূপ নিয়ে মায়ের সম্মান পুনরায় ফিরিয়ে আনে;
তবে আজ,
ভারতমাতার পুষ্পসম নারীদের স্বাধীন সুরক্ষার
দায়িত্ব আজ কারা নিজেদের কাঁধে তুলে নেবে?
কোন গর্বিত সন্তান আজ আমাদের সুরক্ষার স্বাধীনতা দেবে?
কবে আবার ভারতের আকাশে-বাতাসে নারী স্বাধীনতার
সুর ধ্বনিত হবে চতুর্দিকে?
আবার প্রতিটি নারীর মুখে ফুটবে স্বাধীনতার হাসি;
যে স্বাধীনতায় সুরক্ষা আছে।
আমরা নারীরা স্বাধীনতা পেয়েছি;
তবে সুরক্ষিত মুক্তি এখোনো পায়নি।
জয় হিন্দ।।