"দুঃখ"-
তুমি কার?
প্রতিদিনের সকালে
ওই পূব আকাশে
একরাশ সুখের সাথে
সারা জগতকে আলোয় ভরাতে
সূর্য উদিত হয়;
আবার গোধুলির শেষবেলায়
পশ্চিম আকাশে রামধনু একে,
মুখে দুঃখের ছাপ নিয়ে
অস্ত চলে যায় প্রতিদিনের তরে।
"দুঃখ"-
তুমি কার?
রাতের অন্ধকারময় আকাশে
এক চিলতে চাঁদ একগাল
হাসি ভরা সুখ নিয়ে জেগে ওঠে প্রতিরাতে;
আবার রাত কাটতেই সূর্যের আলোর
প্রভাতে মনে দুঃখ নিয়ে ম্লান হয়ে যায় চাঁদের আলো।
"দুঃখ"-
তুমি কার?
বসন্তের ফাগুন বাতাসে গাছের
শাখা-প্রশাখারা নব কিশোরে
ভরে ওঠে দিকে-দিকে,
সুখের জোয়ার ওঠে চারিদিকে,
বনে বনে সবুজেরা হাসে;
আবার শীতের শুষ্ক বাতাসে
প্রকৃতির সব সবুজের গাছেরা
ধীরে ধীরে পত্রবিয়োগ করে,
বনের মাটিতে শুকনো পাতার
খসখসে আওয়াজ দুঃখকে
নিয়ে আসে সারা পরিবেশে।
"দুঃখ"-
তুমি কার?
প্রতিদিনের প্রারম্ভে বৃন্ত থেকে
ঘুমন্ত শান্ত মিষ্টি ফুলেদের
ঘুম ভাঙায় সোনার কিরণ,
সুখের মিষ্টি হাসি জড়িয়ে
হাতের সাজিতে ভরে ওঠে;
আবার দিনের শেষে আধার
নামলেই ফুলের দলেরা
দুঃখের সাথে ঘুমিয়ে পড়ে বৃন্ত মাঝে।
"দুঃখ"-
তুমি কার?
পক্ষীরা উষাকালে বাসা ছেড়ে
সুখের সাথে কলরব করে,
সারাদিন দূরদূর আকাশের পথে
ঘুড়ে বেড়ায় সাথীদের সাথে;
আবার আধার নামলে যে যার
বাসার দিকে ফিরে আসে সব দুঃখ বুকে নিয়ে।
"দুঃখ"-
তুমি কার?
সমুদ্রের ঢেউগুলো দূর হতে
একরাশ ঝিনুক নিয়ে আসে সুখের বালিযাড়িতে,
আবার তীরে এসে দুঃখের সাথে সে
একলা করে চলে যায় নিজগর্ভে।
অতঃপর,
"দুঃখ"-
তুমি কার?
শুধু কি রক্তমাংসে গড়া এই মনুষ্য মনের?
নাকি; সুখ তার বিপরীতদিকের?