আরে
দাঁড়াও দাঁড়াও,
এত তাড়াহুড়ো করে
চললে কোথায় সাত-সকালে?
জানি অনেক কাজ তোমার ;
তাও একটু তো দাঁড়িয়ে যাও,
কাল রাতে তো দেরী করে
বাড়ি ফিরলে তুমি,
তুমি আমায় খেয়াল করো নি;
কিন্তু আমি তোমার আসার প্রহর গুনছিলাম।
যতই হোক আজও আমি তোমার বাড়িতে
আছি তোমার সেই ছোট্টবেলা থেকে,
শুধুমাত্র তোমার আনন্দের জন্যই
তো তোমার বাবা-মা আমায়
তোমাদের বাড়ির এই উঠোনে
একটু জায়গা করে দিয়েছিলেন;
তাতে তোমার পছন্দমতো
রঙিন রঙিন ফুলের গাছ দিয়ে
ভরিয়ে দিয়েছিলেন ছোট একটা
বেড়ায় ঘেরা "বাগানখানা"।
তখন আমি ছিলাম তোমার
সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু,মনে পড়ে তোমার।
নিজের হাতে জল দিয়ে আমাতে
প্রান জাগিয়েছিলে তুমি।
কালের গতির নিয়মে
তুমি সেই ছোট্টটি থেকে আজকের ব্যাস্ত মানুষ;
বাবা-মায়ের ছত্রছায়া থেকে বেড়িয়ে
এখন নিজের মাথায় নিজেই ছাতা
ধরার যোগ্য হয়ে উঠেছো আধুনিক হয়ে;
ছেলেবেলার খাতার পাতার রচনাতে
বহুবার আমায় স্থান দিয়েছো
নিজের প্রিয় শখ হিসেবে সম্মান দিয়ে;
অধুনা এই ঝাঁ-চকচকে সময়ের দিনে
আমায় নিয়ে তোমার ভাবার সময়টাকে
এই কালের সময়ই খারাপ করে দিয়েছে;
"আমি জানি তোমার কোনো দোষ না;
হয়ত এখনো তোমার শ্রান্ত মন
অনেক ক্লান্তির মাঝে আমাতে
সাজানো ফুলের সুচিত্র তোমার মনকে
ক্ষনিক আনন্দ দেয়, ঠোটের কোনে
একচিলতে হাসি এনে সময়টাকে থমকে দেয়"
আসলে উল্লেখিত এইসব কথাগুলো আমার
নিসংগ মনের একাকী ভাবনা মাত্র।
জানি না আমার এই অলীক ভাবনা
কোনো দিনও সত্যি হবে কিনা!
সত্যি কী তোমার জীবনে আমার
প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে?
আস্তে আস্তে ঠিক একই ভাবে কি
জীবন সংসারের প্রিয় মানুষগুলো
তোমার কাছে অপ্রয়োজনীয়
হয় উঠবে, কালের গতিতে
এতটাই এগিয়ে যাবে নিজের স্বার্থে যে;
নিজের ভাললাগা -পছন্দলাগা সব একে একে
বদলে দেবে -ভেবে দেখো তো একবার।।