নিঃসঙ্গতার ছায়া
ওয়াহিদুজ্জামান বকুল।

নিঃসঙ্গতার একাকী পথে,
আমি হাঁটি নির্জন রাতে।
তারা যেন দূরের আলো,
ম্লান হয়ে যায় অবশেষে।

হৃদয়ের গভীরে গোপন ব্যথা,
বয়ে চলে নিরন্তর এ পথে।
স্বপ্নগুলো সব হারিয়ে যায়,
নিভৃত কোন স্মৃতির কোণে।

নিঃশব্দের ঢেউ আসে কানে,
আলিঙ্গন করে অব্যক্ত বেদনায়।
অশ্রু গুলো লুকায় অবিরত,
নিঃসঙ্গতা শুধু শূন্যতায়।

চাঁদের আলো ম্লান এই রাতে,
সঙ্গীহীন একাকী আমি।
প্রকৃতির কান্না শুনি সারা,
নিঃসঙ্গতা আমার সাথী।

স্মৃতির পাতায় কিছু কথা,
রেখে যায় নিঃশব্দ শ্বাস।
নিঃসঙ্গতার গভীর সাগরে,
আমি খুঁজি শান্তির আশ্বাস।

তবুও, এই নীরব রাতে,
একাকিত্বের মাঝে নিজেকে খুঁজি।
নিঃসঙ্গতার ছায়া মুছে,
আলোর পথে আবার ফিরি।

তবুও মাঝে মাঝে ভাবি,
এই নির্জনতার গভীরতায়,
আসল সুখ কি এই নীরবতায়,
নাকি সঙ্গীহীনতার শূন্যতায়?

চুপচাপ বসে থাকি আমি,
প্রকৃতির সাথে মিশে যাই।
নিঃসঙ্গতার রঙে রাঙা,
আমার মনের আকাশ।

তবুও সন্ধ্যার আলোয়,
একাকিত্বের মাঝে পাই শান্তি।
নিঃসঙ্গতা হয়তো সত্যি সঙ্গী,
আমার এই নিঃসঙ্গ জীবনে।

নিঃশব্দের সুরে বাজে,
মনের গভীর সুরে সুর।
একাকিত্বের মেলবন্ধনে,
আমি খুঁজি নতুন ভোর।