আমি শিল্পী নই যে, তুলির আঁচরে তোমার সৌন্দর্যরূপ আঁকবো!
আমি কবি নই যে, সমুদ্রের পাশে বসে প্রকৃতির এই মনোরম পরিবেশে কবিতা লিখবো!
আমি গায়কও নই যে, সমুদ্রের কিনারায় তোমার হাত ধরে হেঁটে যাব অনন্তকাল আর সুমধুর গান গেয়ে যাব-এই পথ যদি শেষ না হতো!
আমি কবি হতে চেয়েছি কবিতা ভালবেসে নয়,প্রেমের স্পন্দন নীড় গড়ে তোমার শরীরের ঘ্রাণ নিয়ে হ্নদয়ে রক্তের আলপনা আঁকবো বলে!
আমি পারিনি কারন দুগ্ধপোষ্য শিশুর কাছে কান্না ছাড়া ভাষা নেই!
হ্নদপিন্ডে লুকিয়ে থাকে এক আরণ্যক যে বিবেক বা যুক্তি মানে না,মানে শুধু মোহ।
বুকের ভিতর নির্জন দ্বীপে যে ভালবাসার প্রদীপ জ্বেলেছো সেখানে কোন পদচিহ্ন নেই আমার!একদিন সেই দ্বীপেও অগ্নুৎপাত হবে!ফিরে যেতে হবে নি:সংগ রাস্তায় একাকিত্বের বাড়িতে!!
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছো তুমি, কখনো তীব্র স্রোতের নদী, কখনো ঘন কালো অন্ধকারে অমাবস্যার রাত্রি,কখনো ঝরনায় আবৃত রাত!আমায় নাওনি অপবাদ আর অসন্মানের ভয়ে!
তোমায় ভালবাসি বলেই কত রাত কাটিয়েছি নিদ্রাহীন আনমনে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে!
আকাশের মেঘ আর আর মনের মেঘের মধ্যে মনে হয় একটা বৈপরীত্য আছে।
ভালোবাসার নীড় বুনে,তীব্র ঝড়ে ছিটকে গেলেও, নীড়ের বুনন কিন্ত থাকে অটুট!
বুকের ভিতর দীর্ঘশ্বাসের পর দীর্ঘশ্বাস!
শূন্যতার এই দীর্ঘশ্বাস!
শুধুই অশ্রুপাত শুধুই হাহাকার!
জীবনের আলো ক্রমশ ধূসর হয়ে আসছে।
তাই কবিতার স্নিগ্ধতার প্রয়োজন নেই!
বেদনার উপকূলে দাঁড়িয়ে এখনো তোমার উজ্জ্বল স্মৃতি আমার কবিতার অশ্রুজলে ক্ষত বিক্ষত!
বুক থেকে রিক্ত কন্ঠে বিপন্ন আজ আমি,নিরন্ন জীবন!
মেঘের মর্মধ্বনিতে আছে বিষাদের ছায়া হিংস্র বাতাসে!
তুমি এক জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড, ঠান্ডা আগুন!
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে অস্পষ্ট কুয়াশাভরা চোখে প্রত্যহ দু:স্বপ্ন দেখি,মৃত্যুর সুস্পষ্ট ছবি!!
এক বিষন্ন গভীর রাতে যখন তুমি মরফিন ঘুমে আচ্ছন থাকবে,আমি গুটি গুটি পায়ে আংগূলের ছাপ রেখে নষ্ট পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবো!!