ঘর জুড়ে উৎসব, আনন্দ হুল্লোড়,
বুকের মধ্যে জমে যায় বিস্তীর্ণ চর-
"মন্দবাসি" বলে - সে যে ছেড়ে গে'ল ঘর।
ঘোলা বাসর - আপন যারা হল পর!
সে, হমন্তের শুকনো পাতার বিরাগ,
সে, বসন্তের লাল পলাশের অনুরাগ!
সে, শ্রাবণের মেঘ মল্লার, মিষ্টি রাগ-
সে, শীতের দুপুরের রোদ্দুর সোহাগ!
শেষে- স্টেশনের ঘড়িটির পাশে একা,
ধাতুর পাতে, চাই দেখতে ভাগ্যরেখা!
ক্লান্তি-ঘোরে ঘুম - স্টেশন চত্বর ফাঁকা।
ভিড় চিড়ে এলো সুখ- দিল ধূম বকা-
"এই যে, শুনেছি শহরে পড়ছে বৃষ্টি;
সাহায্য করুন, বিপদে কথা বলছি!
নম্বরটিতে কথা বলতে চেষ্টা করছি-
অনেক ট্রাই করেই - সাহায্য চাইছি!"
ফোন করি আমি - 'শেষের সাহায্য' ভেবে -
শুনি হুংকার - যেন কেউ গিলে খাবে!
পরে শুরু - গালিগালাজ নোংরা ভাবে;
"ঘৃণা করি তোমাকে"- বলে মেয়েটি ক্ষোভে!
ঘড়ির পাশে সূচনা নতুন জীবন-
দিলাম উজাড় করে গতিকেই মন!
কাজল চোখ হ'ল খুব আপনজন-
গান,গল্পে কাটে যে দিনরাত এখন।
ফ্রেম বন্দী আছে স্টেশন, ট্রেনের ছবি-
পেয়েছিলাম স্টেশনে বিশ্বাসের চাবি!
'মন্দবাসিকে' পেলে দেখা, বলব ভাবি-
ভালো ভাগ্য, তাই হয়েছি - "জীবন কবি"।
==================================