ইচ্ছেগুলো ভেসেছিল নিজের মতো,
রগচটা অভিমানী মেঘ,
গোমড়া মুখ- থমথমে চারপাশ!
রঙিন সূর্যাস্ত হওয়ার ঠিক আগে, ক্ষমা চোখে স্তব্ধ- ভাঙা ঘড়ির কাঁটার মতো!
হঠাৎ দক্ষিণ বাতাস থেমে গেলো-
কোজাগরী জোছনায় সাজানো, আলগোছে স্পর্শ-কাতর গা ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া,
ট্রেনের ধোঁয়ার মাদকতায়-
ভর্তি হয়ে এলো আকাশ।
ঠিক তখনি- হঠাৎ মাঝ বয়েসটা ফুটতে লাগলো, টগবগে নেশাতে পলাশ!
নাছোড়বান্দা-অর্ধ সমাপ্ত
হারানো কিছু বসন্তের গল্প ;
পরিব্রাজিকার উদাসিনীতাতে
যা পড়েছিল রাস্তায়-
এবার শব্দের আগুনে পুড়তে এলো- পিপীলিকার মতো ;
তপ্ত সোনা গ'লে মূর্তি-
আকর্ষণীয় অনুভবের স্বর্গীয় আনন্দে, মানব হৃদের অতল থেকে বেরিয়ে এলো-
এক 'তুমি' আরকটি 'আমি'।
তাদের চারদিকে শুরু হলো
ক'ত শত, কথা,গান,কবিতা কাহিনী-
দুজনের সমন্বয়ে প্রকৃতি লেখে- প্রেম, পূজা, বিচ্ছেদ উপন্যাস-
কিছু পায় খ্যাতি, কিছু হারিয়ে যায়-
অভিমান,মান,অপমান,অনুমান,পরিমানের বিচার- আচার, বাস্তবিকতার 'নিঝুম সন্ধ্যায়'!
'আমি' গুলো খুব গাঢ় রঙ নিয়ে এসেছিল,
সেগুলো থেকে যায় যেমনি ছিল;
"পরিচিত মানুষ, অপরিচিত মুখ!" সংলাপে
'তুমি' দূরে চলে যায় !
'আমি' একটিবারের জন্যে চোখের আভরণ খুলে-
'তুমি' কে বলে নি-
"এই যে 'তুমি'- নিঃস্ব করে কেন চলে যাচ্ছো এখনি ! "
'আমি' সচরাচর এমনি হয়-
এই 'আমি' কে বুঝে নিতে হয়।
যে শহরের মিছিলে, রাস্তার পিচের গরমে হারানোকে,
সহজাত মনে করে- এদের ক্ষোভ নেই; পাছে যদি 'আমি' ক্ষয়ে যায়!
'আমি' বুকের ভেতরে শরীরটাকে চেপে ধরে-
শুধু চোখকে উজ্জ্বল তারার বন্যায় ভাসিয়ে দিয়ে,
একের পর এক 'তুমি' বিদায়। দিয়ে, একা চৌকাঠ আগলায়!
"অভিমান ও দূরত্ব" মাপে-
'তুমি' ও 'আমি' মধ্যে;
দীর্ঘনিঃশ্বাসের সময়!!
======================