কুল কুড়ানোর পদ ধ্বনিতে মোর
রিদয় উঠিল বাজি
বহু দিনের সেই বাল্য স্মৃতি গুলি
মনে পরে তাই আজি।
ঊষার আধারে ঘুম জড়া চোখে
দ্বার খুলে যেয়ে আখি বুজে,
ঝরা আমের গুটির তরে
হয়রান হতাম সব খুজে।
ঘুমের ঘোরে, স্বপনে মোরে
কত সাথী দিতো ডাক,
দ্বার খুলে যেয়ে, দেখি নাই কেহ
ডাকে না একটিও কাক!
সাঝ সকালে ধুলি ভাতে
খেলেছি কত খেলা
পুতুল বিয়ের মিষ্টি খেয়ে
কেটেছে সাড়া বেলা।
বই পড়াতে মন না দিয়ে
দিয়েছি পুতুল বিয়ে,
পড়া নয় যত, খেয়েছি তত,
বই কিনতে গিয়ে।
একই দিনে ছেলে মেয়ে,
কতই না দিয়েছি বিয়ে,
সোলার পালকীতে বউ এনেছি
পুতির গহনা দিয়ে।
।বরের তরে ঝরা ফুলের
গাথিয়া গলার মালা
নব বধু য়া আনার ছলে
গড়েছি মাটির ডালা।
সাঝের বেলা ভেংগে খেলা
ঘুমাতে যেয়ে মায়ের বুকে
রুপ কথার সে গল্পে বিভোর
হারাতাম মনের সুখে।
বড়ই সুখের সে দিন গুলি
ছিল বাল্য বেলার
হারায় যে সময় ফিরে আসেনা
যতনের অবহেলার।
শৈশবের সে দিন যদি
আজও মনে পরে
তনু মন শিউরে উঠে
রিদয় ব্যাথায় ভরে।।