আকাশ, মাটি, সমুদ্র জুড়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল
সুবিশাল একটি 'টাচ্ স্ক্রিন' --
ন্যানো ক্ষেত্রফলের স্পর্শ লাগতেই
অল্টো সেকেণ্ডে ফুটে উঠছে
বর্ণ বিচিত্রা দৃশ্যপট - 'ধন ধান্য পুস্প ভরা',
মুহুর্মুহু হর্ষ ধ্বনিতে বিগলিত হচ্ছে
'আকাশ ভরা সূর্য তারা, বিশ্ব ভরা প্রাণ' ।
তুমি আঙুলের ডগায় দেখে নিচ্ছ
স্বর্ণ চিহ্নের উদয়-অস্ত, সমুদ্র মন্থন,
সিন্ধু সভ্যতা থেকে দ্বি-তন্ত্রী জিবনের গঠন।
তবুও তোমার হাতে রয়েছে পেন্সিল,
সমগ্র শ্লেট জুড়ে দীঘল অন্ধকার - কৃষ্ণ গহ্বর।
তুমি দেখছো - সে কদাকার, আলোক হীন, বুভুক্ষু।
অথচ, তার সৌন্দর্য্যের প্রতি পৃষ্ঠা
জার্নাল এডিটোরিয়ালের মতো সুবিন্যস্ত;
তার পায়ে খণ্ডিত প্রস্তর যুগ, শ্বাস-প্রশ্বাসে সবুজ বিপ্লব,
মুষ্ঠিবদ্ধ স্বর্ণ ভাণ্ডার, সম্মুখে হীরক রাজত্ব।
প্রতি সূর্যাস্তে তুমি যখন ডুবে যাও মহাকালের গভীরে -
তখনো তার বাঁঁশিতে হ্যামিলনের জাদু খেলে বেড়ায়,
প্রতি পাদ-স্পর্শে পোশাকাচ্ছাদিত হয় নগ্ন মাঠ,
মুক্তি পায় মৃত্তিকা-বদ্ধ প্রবাহমানতার ইতিহাস।
তবে, এই বিশ্বজোড়া 'টাচ্ স্ক্রিন'-এর
উত্তরাধীকারী কে?