আজ খুব ভয়ে ভয়ে দেখি
সূর্যের রোদ-চোখ উপেক্ষা করে
হেঁঁতালের জঙ্গল ডিঙিয়ে আসছে সে -
মহাপ্রলয়; রক্তলোভী বাতাস।
ভোরের স্বপ্ন কল্পিত রুটির মতো
আধপোড়া। চাঁঁদ ভেসে যায় নদীর স্রোতে
নেতা ধোপানির ঘাট ছাড়িয়ে; নরকের মোহনায়।


তবু দুঃসাহসিক ভাবনায় উঠে দাঁঁড়াই -
এক দিন ঝড় থেমে যাবে,
আবার দেখা হবে সমুদ্র সৈকতে,
বৃষ্টি ভেজা বালিয়াড়ি সাক্ষী থাকবে
কিছু স্পর্ধিত ভালোবাসার।


এভাবেই ফিরে আসবে বারবার,
গোলপাতার সংসার,
ঝাউ গাছের নিচে ত্রিপল পরিপাটি,
ইঁঁট ঘেরা উনুন পুড়ে তৈরি হবে লাল রঙ,
বুকের গভীরে মিশে যেতে।


বন্ধু দেখা হবে আগামী শীতে,
কুয়াশার চাদরের নীচে
সামাজিক দূরত্বের বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে
আগুন জ্বালবো পাঁজর পুড়িয়ে।
ধোঁয়া হয়ে জড়িয়ে যাচ্ছি তুষারে
বড়ো অবহেলায় উড়ে যাচ্ছে আঁচল,
শিশির ঘাস হয়ে ঢেকে দাও
                  মনুষ্যত্বের নগ্নতা।


বন্ধু, ভালো থেকো, ভালোবাসা নিও প্রাণ ভরে,
প্রশ্বাসে সুবাসিত থাক প্রাণের আঘ্রাণ
স্মৃতি থাক চিরন্তন প্রদীপের।