সেই জীবন এখানেই শেষ, পিছন ফিরে আর তাকিয় না, পিছনে কিছু ফিরে পাবে না। না হবে আর তাসের ঘরের বাধভাঙা আড্ডা, না পাবে আর সতেজ আনন্দ উল্লাস। সুখ কত ক্ষনস্হায়ী তা আবেগ হারালে বুঝবে, আনন্দের সঙ্গার মিল পাবে না ভুবনে, পৃথিবী যে মোটেই স্হিতিশীল নয়, প্রতি মুহুর্তে জীবনকে সম্মুখ ঠেলে দেয়, কি করে আর পুরনোকে আকড়ে ধরে রইবে পড়ে ক্ষনস্হায়ী এ সংসারে।
অতীতে ফিরে তাকিয় না, ততীত যে কাহারও তেমন ভালো না।
অতীতের কালাচোরা বর্তমানে লোক সকলে জানে তারে সর্বসেরা।
সব অতীতের প্রায়শ্চিত্ত হয় না দুনিয়ায়,
মানুষের বিচার সসীম ক্ষমতার,
তারে কি আর বিচারক মানায়।
তুমি ভোলানাথ বৃথাই করেছ কালক্ষেপন,
তোমার কৃতকর্ম কি আর টানবে দেশের জনগন।
আমি পাপী অনুতাপি বন্দেগী ছাড়া বান্দা অসহায়,
বৃথা কথা নয় শুধু খোদাই হলে সহয়
কালো লোহাও সৎ পরশে পরিনত কাঞ্চা সোনায়।
চিত্ত মত্ত হইয়া ণৃত্য করিবে বসুরাম
এই অধম করিবে সুন্দরেরে প্রণাম।
তুমি জগতে আসিয়া বসু দৃস্টিঅন্ধ কেন রহিয়াছ
কোন ক্ষ্যালে নিঃমাতালে সকল সুখলগ্ন ভুলিয়াছ।
সুখ প্রাপ্তি সমাপ্তিতে গত হইয়াছে কি গতর জ্যোতি
আজও কাটেনি কি ভীমরতি অতি সুন্দরের প্রতি।