লকলকে আগুনে পুড়ে ছারখার কুরুক্ষেত্র,
শেষ যোদ্ধা পড়ে আছে পরিপক্ক পরিখার খাদে,
রক্তের ছোপে ঢাকা ভাটফুলে অবনত কুসুমিত পত্র!
সেই অন্ধ শহরের শেষ নিঃশ্বাসে,
পেট মোটা চাদিয়াল ঘুড়িটার মতো ঘুরছি অবিশ্বাসে!
প্রতিবার ডাইনোসরের মতো গর্জন-
ফূটছে মাইন; বৃহস্পতির প্রলয়ের মতো ডাকছে এখন-
বেলাগাম হাইড্রোজেন বোম!
শিম্পাঞ্জির শেষ নিঃশ্বাসে; গরিলার শেষ নিঃশ্বাসে,
মানুষের নিহত বিশ্বাসে,
এখন তীব্র বিষ! পুড়ে যাচ্ছে আমাদের বৃক্কের নেফ্রন!
তবুও প্রেমের ফাঁদে প্রায়শই লটকে থাকি,
মরে যেতে গিয়ে জামা ধরে টান দাও কেনরে প্রণয়ী?
আমিও জালে আটকে পড়া হুতোম প্যাঁচা নাকি!
এখানে বাজার ছিল প্রেম ও গোলাপের,
এখানে বসতি ছিল রুপালী আলোয় খাবি খাওয়া,
আহ্লাদী যুগলের!
এখানে মানুষ আবাদ হতো! জংলা ফুলের মতো,
দু চারটি ভালোবাসা কুড়িয়ে পাওয়া যেত ইতস্তত!
দৈত্যের পঙ্গপাল নিয়ে গেলো জোর করে সব,
শস্যদানার সাথে খুটে খুটে খেয়ে নিল প্রেম,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিউতি অবশিষ্ট লোভ!
মাঝে আয়নায় চোখ দিলে দেখি নিজেকে নিজেই,
আরে আমিই তো সেই অন্ধ দানব!
অশ্বেরা হাসে দেখে অশ্বারোহীদের ব্যর্থ বিপ্লব!
অথচ বিড়ালের মতো গুটি গুটি পায়ে,
চোখ রেখে দেখি আধাডোবা নীল জলে,
প্রণয়ী সারসীর ঠোঁটে আরক্ত বিকালে,
আমি নিতান্ত সাধারণ সংখ্যার মতো এক লোক,
নেই কোন পুরাণের আগ্নেয় লোমশ পালক!
কে আমি? কে আমি?
কেউ কি পারবে দিতে পূর্ণাংগ সেই খবর?
এখনো শহর আছে! নিকোটিনে ধোঁয়া আছে,
আছে বৈকালিক শরাবের উদ্বায়ী শব!
শুধু তুমি নেই! বিজ্ঞাপনে নেই! মেগাসিরিয়ালে নেই,
আদমশুমারীর ছকে মেলেনা হিসাব মোটে!
প্রবল বর্ষণ আক্রান্ত যুদ্ধে হারিয়ে ফেলছি খেই,
শুধু তুমি নেই!
এই যুদ্ধক্লান্ত শহরের নিত্য বিধ্বংসী স্বভাব,
মূলত তোমারই অভাব!