তোমার জন্য হাত বাড়াতেই শহর হলো উন্মনা,
ঝড়ের ধুলায় উড়লো গোলাপ,
তোমাকে দেয়া আর হলোনা! ভাসল চন্দ্রমল্লিকা!
সিক্ত ফুলের কবর থেকে জন্ম নিল প্রজাপতি,
ভুলোমনে সরিয়ে দিওনা খোঁপায় এসে বসে যদি!
লম্বা মেঘের ট্রেনে চেপেছি, যাত্রী একাকী আমি,
প্রতিটি স্টেশনে লক্ষবার তোমার খোঁজে নামি!
শহর জুড়ে আলোর মিছিল হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে,
শেষ মশালের আলোয় পাখি বসল এসে নীড়ে!
চাঁদ উঠেছে! চাঁদ উঠেছে ওই! পাগলি তুমি কই?
পরিত্যক্ত শহরের প্রেমে অকারণে শিহরিত হই!
অমরাবতীর দরোজা জুড়ে কঠিন শিকল বাঁধা,
তবু বন্ধ হলোনা আনমনে তোমার নামটা সাধা!
রেশম পোকা ঢুকলো ঘরে এক্কেবারে চিরতরে,
রাস্তা ঘাটে বৃক্ষ হাঁটে চাঁদের আলো ফেরী করে,
শোন বৃক্ষ! শোন লতাপাতা!
বলতে পার এই শহরের পাগলি মেয়েটির কথা?
কোথায় তার আসল নিবাস! কোথায় রাখে প্রেম!
সাঁঝ বিকালে রাস্তা ধরে হাঁটে কি সে অনিঃশেষ?
একটিবার ইচ্ছা জেগেছে বুঁদ হবো তার নেশায়,
এই কথাটা শুনেই মেয়েটি মিলিয়ে গেল ছায়ায়!
মাতাল করে ভাসিয়ে দিল মহাসাগরের হাওয়ায়!
রাজপথে আজ অনেক ছায়া! মেলার মতো ভিড়,
পাগলি বলতে পারো ঠিক কোন ছায়াটা তোমার?
চশমায় চোখে আবছা লাগে, ঠাহর পাইনা আর!