একটা টয়ট্রেন বিদীর্ণ ক্ষত নিয়ে মুখের আদলে,
ধীরগামী কেন্নোর মতো ঘুরে শৈশবের বিগলিত গ্রামীণ জলাশয় শুঁকে,
আলুথালু হয়ে এখনো রাস্তায় গলিতে মোচড়াচ্ছে
কাতরাচ্ছে! জলময়ুরের কাছে এসেছি ফেলে নিস্পৃহ বিষাদগ্রস্ত চোখ!
বাহারী লতার শরীরের উন্মনা বাতাসে অকারণে দোল খাওয়া মন,
রেশমের মতো মৃদু ঘাসে স্থিরতার চাষাবাদে ব্যস্ত এখন!
টরাস পর্বতের বৃষে আরোহী দেবীর কোলে পরলোকগত গর্জনে
প্রতিটি ফোঁটার জল বিশুদ্ধ বিস্ময়!
যোগ বিয়োগের ভিড়ে আমি এখনো এক অব্যর্থ অব্যয়,
সব কিছু নিহত বরফ যুগের মতো সীমানায় শুয়ে আছে আজো,
মৃত নয়! সামান্য প্লাবন এলে জেগে উঠে চরের আহ্লাদী ফাটলে ফাটলে,
অভিশপ্ত ভয়!
মোমের হাওয়ায় তার গোলাপী ছায়ার উঠানামা,
সবুজ জমিনে হাওয়া; আঁচলে লুকানো প্রেম, বর্ষাসিক্ত বুনো ফুলে
লেগে থাকা স্নেহ; কখনো হয়নি চাওয়া!
এরই মাঝে স্টেশন বদলালো সাদা কালো ফিল্মের মতো,
জীবন এমনই হয়! ধীরলয়ে ট্রেনে চেপে নিরর্থক পার হওয়া!
শুধু অদৃশ্য ক্ষত জমে আছে প্রতিটি কোষের অন্তঃস্থিত গাঢ় জলে,
তবু কৃষ্ণপ্রস্তরে মোড়া অমিতাভ বুদ্ধ, পাশের তাকেই যোগিনী,
বৃন্তে বৃন্তে ঢেউ নিয়ে শুয়ে থাকা মৃত নদী; ডোবা ফার্নদলে,
আপনার ভেবে সবাইকে বর্মে চেপে দিয়েছি ডুব; শরীরটা ভেজেনি!
কতোগুলো বিশুদ্ধ ছায়া; আমার অবিশুদ্ধ তীরে এসে
উড়াচ্ছে আঁচল; ছুঁয়ে দিব ভেবে বাড়াতেই হাত,
সুর্যগ্রহণের দিনে মুঠো ভরে উঠে এলো রাশি রাশি কাদামাটি,
দিনশেষে দুয়েকটা ভাঙ্গাচোরা মুদ্রাই সম্বল!
পার হয়ে যাচ্ছে টয়ট্রেন; পিছনে পালাচ্ছে চিরচেনা নগর ও বন্দর!