ছেঁড়া ঘুড়ি গুলো রাত্রির বাতাসে হারিয়ে যাচ্ছে উড়ে,
বাতিঘরের মতো একা দাড়িয়ে অলঙ্কার উৎকীর্ণ মিনারে,
একটা গীতবিতানের পাতা হারালো সমুদ্র হয়ে!
মায়াবী ভাষণে বায়োস্কোপের মতো পুনুরূত্থিত রিলে,
বর্ণময় মৎস্যকন্যা; আকর্ণ হাসি জুড়ে নিয়ে তার টোল-
পড়া গালে, বলে দিল অনায়াসে- সেতো মানবী নয়!
টেবিলে প্লাস্টিকের ফুলে গুঁজে রাখা বৃদ্ধ সিগারেটের-
বহ্নির মধুময় লেকে ডুবে যাওয়া দেখে ভাবছি এখনো,
তবে কি রুপালী জলের ছায়ায় মানবী ছিলনা কখনো?
বারবার স্পর্শ দিয়ে অবাস্তবের চোখে হাত রেখে ভুলে,
জঠরে ক্ষুধার পাসপোর্ট নিয়ে ডোরাকাটা সাপগুলো,
নেমেছে মিছিলে! তবু প্ল্যাকার্ডে লেখা-
শঙ্খচূড়েরা ফিরে যাবে নিঃশর্ত ভালোবাসা পেলে!
ক্লান্ত হাস্যরসের তন্দ্রা ভেঙ্গে অনন্তস্পর্শী চিৎকার কার?
ভালোবাসা খুঁজো না বেকার; চোরাপথে বন্ধ রেখেছে-
সমস্ত আমদানি! ভুয়ো মাল গুঁজে দিলে ট্যাকে, পুরোটা-
জীবন কেটে যাবে জেলে! ওয়াইনের গেলাসে জমা-
অপরিশুদ্ধ পানি! তাতে পরিপূর্ণ কীটের কিলবিলে সন্ত্রস্ত-
উন্মাদ কবি ভাবে এরচেয়ে তো বিশুদ্ধ ছিল জমা মদ,
অবিশ্বস্ত ক্ষারে পুড়ে ইদানীং রাস্তায় হাঁটেনা সুবোধ!
মৃত পূর্ণিমা নেড়েচেড়ে চলে গেলো কেউ! এই শহর-
পেয়েছে ভয়, অচিন পাখি কোলে নিয়ে বসে শিশিরস্নাত-
ফাকা ফুটপাথে, কে যেন লাগাচ্ছে ধূসর পালক তাতে!
লাল নীল কাগজের বাতি পায়ে পায়ে উড়ছে জানালায়,
এখনো চুলের ঢালে ঢাকা তার মুখ; এলোকেশে ফুটে-
আছে নিয়নের বাতি! উচ্ছল গ্রীবায় উড়ন্তপ্রায়-
সে কি পুরাণের পরী অথবা মানবী? নির্বাক ভাষার অব্যয়!
প্রাজ্ঞ অতীত, দোলাচলে বর্তমান, অস্পষ্ট ভবিষ্য,
প্রয়োজন নেই উত্তর! আজ শুধু ধ্রুপদী চলচ্চিত্রের মতো-
একটানা অনন্ত রাতে লেগে থাক তার অবয়ব!
তালাবদ্ধ থাক গুমঘরে সমস্ত বিতর্ক ছোঁয়া ধারাভাষ্য!