তোমার দুঃখ গুলো আমাকেই দিয়ে দিও,
আমি হোমারকে বলে দিব সে যেন এবার হেলেনকে জেতায়,
বারবার পুড়ে গেলে ট্রয় প্রতিবার ভস্ম হও তুমি,
কেউ সেটা না বুঝলেও আমি তো তা জানি!
তোমার দুঃখ গুলো বৃক্ষের চারার মতো বপন করা যেতে পারে
নগরের নার্সারি জুড়ে,
কোন এক আফিমের ঘ্রাণওয়ালা তীব্র বসন্তে!
তারা স্ট্রিটলাইটের মতো ফুল হয়ে ফুটবে থরে থরে,
অনেকটা তোমার ধরনেই হালকা বাতাসে দুলে চুপিসারে!
এই ইট কাঠ বালু, দেয়ালের সোনালু, খরতাপে পোড়া নদী,
বয়ে যাওয়া রাতে নির্ঘুম নিয়তি,
সব কিছু মিলিয়ে আবার পুরাণ লেখা হয় যদি,
আমি দেবতাদের কড়া ভাবে বলে দিব-
এইবার স্বয়ংবরে ভাগ্যের হাতে যেন পুড়ে না যায় দ্রৌপদী!
তুমি আর হারবে না দেখো,
অঝর বৃষ্টি হয়ে হাসবে মরে যাওয়া সমস্ত নিহত নদী!
আমি তোমার দুঃখ গুলো বেঁচে দিয়ে উজানপুরের হাটে,
এনে দিব উষ্ণ ভাতের মতো সাদা এক থালা সঞ্জীবনী,
পদ্মের দিল খোলা পাপড়ির সাথে!
দেখো মেঘলা জোছনার দিনে তখন জিতে যাবে ঠিকই,
দুঃখরা একদিন ভেসে যাবে বহুদূর,
হয়তো গল্পের রাতে তোমারই নাম হবে অপার সমুদ্দুর!