উন্মত্ততা ফেলে মৃত তিমিদের কড়া হাহাকার,
নিঃসঙ্গ দূরবীনে চোখ রেখে দেখে আজকাল
বায়বীয় মানুষ!
ঝুঁকে থাকে মাথা লোকাল বাসের সিটেতেই সাঁটা,
প্রেমিকার মুখ খুঁজে খুঁজে প্রায়ই হয়ে দিশেহারা,
অবোধ মনটা দিনান্তে তাই সিগারেটে দম নেয়,
ফাঁকে কোন স্টেশন এলেই!
থার্মোমিটারে জ্বর একান্তে বাড়ছেই চড়া,
বৈদ্য কোথায় পাবে প্রেমিক ও প্রেমিকারা?
নুতন ভোরের দিনে অবরুদ্ধ নগর!
অচল দৈনিকে পাঠিয়েছি হারানোর বিজ্ঞাপন,
হারিয়ে গিয়েছে প্রেম,
এমন দুঃসময়ে কেউই তো আর হয়না আপন!
রাতের ঘুমের ফাঁকে পতঙ্গের মতো ঘোরা ফেসবুকে,
নিষিদ্ধ গল্পে মজে গেলে মন,
ঘুমই তো হয়না কোটি পুরূষের!
দেবদূতরা কি অনুসন্ধান করেন সে সংবাদের?
এককোণে ঘুমে ব্যাক্তিগত শোক ঢুলুঢুলু চোখে
পাহারায় রাখে প্রবীণ ইঁদুর!
সায়ানাইডের বিষ তাদেরো শিরায় পুরেছে মানুষ!
পড়ে আছে নিষ্প্রাণ অভিযোগহীন; নির্বিকার
জ্বালামুখে কাঁপে অস্তিত্বের পাহাড়!
ছুরির ফলায় দ্বিখন্ডিত চাঁদকে নিয়ে নৈশভোজে-
প্রাজ্ঞ ঈশ্বর! ইদানীং ব্যস্ত অনেক কাজে!
অদ্ভুত স্বাদ ছড়াচ্ছে মাঠে ঘাটে তোমার উঠোনে,
নিশিকালে নিষিদ্ধ যাওয়া ঘাটের সংলগ্ন বনে,
তবুও অনেকবার গিয়েছি দুজনে!
রেখেছো কি লিখে সেই সব পূর্ব নাগরী লিপিতে?
পূর্ণ চাঁদ বিলাচ্ছে অর্ধেক আলো আর অর্ধেক ছায়া,
সম্পূর্ণ অপরিচিত ঠেকে শয্যাসঙ্গিনীর কায়া!
একদা ঈশ্বরী দিয়েছিলো বর,
তবু উপবাসে আজো কাঙ্ক্ষিত বিগ্রহ!
সমাসীনা তুমি! ভেসে যায় প্রায় নীল স্রোতে
অচিন পালক যতো!
সকাল বেলায় মুখ ধোয়া পুনরায়,
মন ভুলতেই চায় সব আবোল তাবোল,
নাস্তার টেবিলে এখনো মানুষ পরিচ্ছন্ন ভদ্রলোক!
সেও হাসে! আমিও অধিক হাসি,
ব্যাপারটা নিশ্চিত ভাবেই এমন- তাকে ভালোবাসি!
তবুও সমাসীনা তোমারই খোঁজে গোপনে গহীনে,
প্রতিদিন বিলি করি অমূল্য বিজ্ঞাপন!