আমিতো শূন্য হবো বলে বাড়িয়ে ছিলাম হাত,
ওরা যোগ-ভাগ-বিয়োগের হিসাবে লাগালো প্যাঁচ,
হাসলেন বীণাপাণি সাক্ষাৎ!
উড়ে গেলো রাজহাঁস রুবিক্স কিউবের বর্ণিল মেঘে,
মেলালো না আর কেউ কাঁটাতারে কেটে যাওয়া,
টুকরো জোছনার সাথে ধুতুরা ফুলের মসৃণ সাদা,
তেপান্তরের মাঠে সজারু ধরার ফাঁদ পাতা,
আমার বদলে শূন্য হলো কতোকিছু সৌখিন,
লাল কালো মেঘটা হারালো, মিশে গেল ছায়াপথ,
তীব্র জ্বরের ঘোরে এক হলো উত্তর-দক্ষিণ!  
রাজার কুমারী মৃগয়ায় গিয়ে ফিরলো না আর ঘরে,  
শূন্য হতে গিয়ে হয়ে কয়েদী আশ্চর্য প্রদীপের তলে,
গুণি অতলান্তের জল মর্মর পাথরের গুহায়!
কোটী বছরের বন্দী বাতাস কোরাল সাপের ডেরায়,
ফোঁসফাঁস করে নির্মাণ করে অপার্থিব স্ট্যালেকটাইট!
বিচিত্র বনসাঁই বারান্দার বর্ষায় কাঁদছে এখনো,  
জানি এ প্রহেলিকায় তুমি আসবেনা কখনো!
নকশী কাঁথার ফোঁড়ে আর কেন মেলেনা উষ্ণতা?
রহস্যময়ী তুমি শূন্যের বুকেও বিঁধলে সুচারূ সুঁই,
আপিমের চালানে লুকিয়ে রেখেছি জমাট ব্যাথাটা!
তবুও বুখারার পশমের কম্বল উষ্ণ পাতিলের-
মতো ভিজে জবজবে হলো; বিষাক্ত ফল গিলে,
শূন্য হারিয়ে গেলো দুরন্ত কাঁচের মার্বেলের মতো!
আমি শূন্য শূন্য বলে উড়ছি এখনো পোড়া নীলে,
বাসী ফুটপাথে বকুলের আঘ্রাণে ব্যঙ্গ করছে হয়তো,
সোনালী খাঁজকাটা কোলা ব্যাং!
ভাসতে ভাসতে পৌঁছে গিয়েছ নাকি অচিনপুরের-
ঝিলে? আমিতো শুন্য হতে গিয়ে আটকে পড়েছি-
জলাশয়ে; বিদঘুটে ভাগশেষে!