সোনালী লতায় ঝুলন্ত দ্রাক্ষাফল টুপটুপ করে,
গলে যায়; মানুষের কিছু অবয়ব বিষণ্ণ বর্ষায়-
বুক মোচড়ানো সুরে সাইকাস বৃক্ষের কষ্টগুলো-
গিলে খায়; প্রতিরাতে ময়ূরেরা নৃত্যে পারঙ্গম,
আকাশটা আড়ি দিয়ে শিশির মেখেছে শরীরে,
শিউলির ফুলে তুমিও তো রাত্রির সঞ্চিত পত্রক,
উষ্ণ বুকের খাঁজে মহাপুরাণের সমস্ত রমণীর,
ছলছল চোখে জমা এলোকেশী কষ্ট নিয়েছিলে-
দত্তক! এখন আষাঢ় ভাসাচ্ছে বেহুলার বাসর!
ঝকঝকে ঝিনুকের মাটিতে ব্যস্ত অঙ্কুরোদগম-
দেখে নীল আলো মিশে গেল হরিদ্রাভ পাতায়,
এখন পলিমাটি জুড়ে আলপনার মতো মিশে,
নীলের পেখম! জলরঙ্গে ছুঁয়ে আছে পরিপক্ক-
মন! এলাচের সুগন্ধ ছড়ানো নির্ঘুম বিছানায়!
বাগানের সুমিষ্ট স্বাদ নিহত প্রাচ্যীয় ছায়াতলে,
সমুদ্রে আকাশ মাতাল হলে একদিন দুজনে,
যাব জলতলে! চাঁদ বিসর্জনে সেই নোনাজলে,
তোমার জন্য প্রবালে কারুকাজের খোদাইয়ে,
বানাবো মৎস ফসিল নিঃসীম অতলে!
হাতে করে আকুয়ারিয়ামের জেব্রা ড্যানিওটা-
এনো শাপলাপাতায় মুড়ে; ভেসে যাবে সেও,
রূপালী বালু মেখে শুকনো জিরজিরে শরীরে!
ভুল দিনে সৌরচ্ছটা ঝলসানো রোদের আকর,
পুড়ছে অন্তঃস্থিত অঙ্গ; ভাজা তেলে ভাসছে-
পলাশের আকাশ! সব বর্ণচ্ছটা হয়েছে বদল!
স্বর্ণলতা গোগ্রাসে সব গিলে খাওয়ার বাহানায়,
স্ফটিকে সুপ্ত ফুল লুকিয়েছে অন্ধ আস্তানায়!
লম্বা ট্রেনের মত স্টেশন গলির মুক্তার আলো,
মহেঞ্জাদারো ধ্বংসের দিনে সবই গিলে নিল।
কয়েকটা জীবন্মৃত রৌদ্রকরোটিতে লাগাচ্ছে,
ঔপনিবেশিক ফ্যানের ব্লেডের ঘূর্ণি বাতাস!
লাল ইটে মৃন্ময় ছাদ; হাসছে সোনালুর গাছ!
একদিন রোদ খুঁজতেই ভাসিয়েছিলাম জানো,
সপ্তদরিয়ায় সাতটি বাণিজ্যতরী,
এখন সামান্যতম আলোয় ফোসকা শরীরে,
ভ্যাম্পায়ারের মতো বারবার পুড়ে মরি! তবু-
তুমি বেলাভূমি, তুমিই আকাশে নীলকান্তমণি!
নারী তুমি হুট করে এসেছিলে দুর্লভ বাতাসে,
অজান্তে বুকভরে নিয়েছি টেনে স্বীয় নিঃশ্বাসে-
পুরোটা তোমাকে! এখন যেখানেই যাও,
থাকো যতোদুর; আমিতো সর্বক্ষণ তোমাতেই-
ভরপুর!