আমার তীব্র জলোচ্ছাসে তোমার বিতাড়িত উচ্ছ্বাসে,
এই রাগিণী সোহাগী ঘর ভয়ে কাঁপে থরথর!
নন্দিত অমৃতে প্রত্যয়ী পিতা বাঁচাতে চেয়েছিল মৃতে,
সেই দাপুটে ঘোড়ার বিশ্বাস কেন দিচ্ছেনা আশ্বাস?
যা ভাবতে চাইছ ভাব আমি না হয় মহাসমুদ্রই হবো,
রুপালী আইশে করাতের সাথে সূর্য্যকে গিলে খাবো!
আমার মিথ্যারা জড়সড়, তুমি যতোই জড়িয়ে ধরো,
প্রেমের হিংস্র শপথ, ঢেকে রাখে ফুল ফলের পর্বত!
ঘোলা জলে মায়া গোলাপ, সকাল বেলা ভ্রষ্ট প্রলাপ,
যতোই রাখি মিথ্যা ঢেকে, ফুরায় পাতারা চেকবুকে,
দুপুর রোদে মজনু সাজা অকারণে বাড়ায় মনস্তাপ!
চাইনা আর লাইলি, জৈব শরীর পুড়ায় আগুন-বালি,
তবু প্রেমিক হওয়ার খায়েশে ছটফট করি বারেবার!
পায়ের নীচে ফুটছে পাতাল, আসমানে ছায়ারা লাল,
সুক্ষ স্থূল নিয়ম কতো জড়িয়ে আছে জালের মতো!
চোখের লেন্সে ঘোলা কাঁচ, হয়েছি আজ আবদ্ধ মাছ,
পারলে কাটো হররোজ, আমি তাজা রক্তের তরমুজ!
পৌছালে দুমদাম অন্তিমে, চুপিসারে ডেকেছি পরমে,
অভিশাপ দিলেন প্রাজ্ঞ, মরণকালে সবাই হবে অজ্ঞ,
পৌরাণিক যুদ্ধ প্রেমে খলনায়কেরা চিরকাল নিঃসঙ্গ!
সকাল বেলা তুমিও সাকার, রাত্রি এলেই হও নিরাকার,
উছলে উঠে সুনামির ডাক, অতৃপ্ততায় নাচে দাঁড়কাক!
পুরো রাত প্রলয়ে সাঁতার, তবুও শরীরে বাঁধা কাঁটাতার,
তোমার শরীর ছুঁয়েই রমণী, জেনেছি তুমি নও হরিণী!
পদ্মফুলে জ্বলছে বারুদ, নাট্যমঞ্চে পুরূষই তীব্র পারদ,
যদি গিলে খেয়ে ফেলো, বিষক্রিয়া ছেয়ে দিবে মস্তিষ্ক!
আমার অন্ধকারের ঘরবাড়ি, তুমি এক নিঃসঙ্গ গ্রহচারী,
এই জনারণ্যে ফোটা বনফুল, তোমার অপছন্দের ভুল,
জমিনে করেছিলাম বপন, এখন প্রেমই চালায় দুঃশাসন!
তুমি পালালে কোথায়? অতন্দ্রীলা দাড়িয়েছে দরোজায়!
আমি রাস্তার সারমেয়, ভিতরে গর্জাচ্ছে নাগিন কালীয়!
আনো অগ্নি নির্বাপক বহর, দেহের ভিতর পুড়ছে শহর,
সপ্ত ডিঙ্গার সাত নাবিকে হন্যে হয়ে খুঁজেই যাচ্ছে ঝড়!
আমার ময়লা টেবিলে ক্ষোভ ও হাঙ্গরের হাসিতে লোভ,
এক থালা সাদা ভাত রাঁধতেই বিস্ফোরণে চৌচির স্টোভ!
বাতাসে বাস্পে পেট্রোল ভাসে, পালাচ্ছ তুমি সেই ত্রাসে,
পড়ে আছে সব দাবার সৈন্য, গ্রাস করে প্রেম জন্তু বন্য,
শেষ করে এই নৈসর্গিক রাত শিম্পাঞ্জিও দেখাচ্ছে দাঁত,
এসো হাতে রেখে হাত, দুজনে ভিনদেশী গ্রহে চলে যাই!