পুরুষের প্রেম হয় পারদের মতো,
তীব্র উজ্জ্বল তবু বিষভারে ফণা অবনত!
অকারণে গড়াতে গড়াতে,
পুড়ে মরে অন্তঃস্থিত দুর্মর বাসনাতে,
বিরহী পারদ তীব্র চঞ্চল! মেঝেতে ছড়ায়,
নিতান্ত স্বাভাবিক তাপমাত্রায়!
বলেছেন ফ্রয়েডের আগে প্রাজ্ঞ গুরুরা,
পুরুষের হাতে রক্ত গোলাপে,
লুকানো থাকে আততায়ী এক ছোরা!

পুরুষে প্রেম পোষে রূপালী পারদ হ্রদে,
মেয়ে তুমি নীল আঁচলে,
বিন্দু বিন্দু ফোঁটা নিজ বুকে আটকালে,
প্রেম ধরে রেখে দিতে থার্মোমিটারে,
অরুণোদয়ের ভোরে সুমসৃণ কাঁচ হলে!
তবুও পুরুষ পুড়ে প্রচন্ড জ্বরে,
যতো দৃড় হও তুমি, তাও তো ভঙ্গুর কাঁচ,
বিচূর্ণ হবে কোন একদিন ঝড়ে!
পুরূষালি মনে অকারণে অতৃপ্ত বজ্রপাত,
পুড়বে নিজেও আর ভাঙ্গবে তোমাকে,
গড়ায় পারদ! পুরুষ তো পরিযায়ী পাখি,
নতুন সৈকত খোঁজে!  

ডুবছে নারী পারদ হ্রদে অতৃপ্ত প্রপাতে,
কোন মায়া ডেকেছিল তাকে?  
বাষ্পের বিষ ধারালো নাক পায়নি কি টের!
এখন তো অসাড় তার পা আর হাত,
তীব্র যন্ত্রণা মস্তিষ্কে দিচ্ছে নরকের সাক্ষাৎ!  
প্রতিটি সেলফিতে যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখ,
মনে হয় যেন আজ সমস্ত পৃথিবীর অসুখ!
পুরুষের প্রেম সেতো পারদের মতো,
তীব্র ঘনত্বে হৃদয় পুড়ায়!
তারপর ফেলে আক্রান্ত নীলিমাকে পিছে,
গোছানো গৃহের স্বাভাবিক তাপমাত্রায়,
থার্মোমিটার ভেঙ্গে নিজেই গড়ায়!
নারী শুধু ভাসে প্রাত্যাহিক ঢেউয়ের পাশে,
কুকড়ানো মন পুড়ছে এখন
অবশিষ্ট বিষে!