অভিমানী মেয়ে,
দলছুট পাখিরা ক্লান্ত রাতের ডাকে,
একমনে দূরতম আলোর গন্ধ শুঁকে,
তুমি আজ তাড়াতাড়ি যেও ঘুমিয়ে!
আকাশে মেঘের লতা,
বিরান বনের ছাদে উষ্ণ নীরবতা,
তারই ফাঁকে বৃষ্টির সামান্য কথকতা,
ছুঁয়ে দিবে তোমাকে,
স্তব্ধ পালংকে পর্দার ফাঁকে!
দাবদাহে কাঁপছে শখের পোষা তোতা,
ব্যথাতুরা নীল শাখে!
কেউতো জানেনা শুধু আকাশ ছাড়া,
প্রেম ছুঁয়েছিল তোমাকে!
অভিমানী মেয়ে,
আজকের মতো তুমি পড় ঘুমিয়ে!
গ্রীষ্ম ঘনাচ্ছে মায়াবী দু চোখে,
মেঘমল্লার দিন সমাগত,
পলকে পাপড়ি বুজে ফেলো,
অকালে বর্ষা নামার আগে!  

দ্যাখো রূপালী জোনাকি,
পদাতিক হয়ে দিচ্ছে এখন উঁকি,
প্রাসাদের গলির বাঁকে।
ওইখানে প্রাক্তন শোক,
মৌমাছির মতো ঘুমাচ্ছে ঝাঁকে!
এই পরাভূত অবেলায়,
ডেকে জাগিয়োনা তাকে!
কোন হেমলক থামাতে পারে বলো,  
অশান্ত প্রশান্ত সমুদ্রকে?  
আহা! অভিমানী মেয়ে,
তোমার মুখের দিকে চেয়ে,
থমকায় নগরের ঝাঁঝালো নিঃশ্বাস!
তোমার চোখেতে রেখে চোখ,
অন্তরে আহত বক,  
ঠোঁটে নিল বেঁচে থাকার বিশ্বাস!
তবু করে ফিসফাস,
জানালায় আগন্তুক বিরহী বাতাস,
অভিমানী মেয়ে,
বেলা যাচ্ছে গড়িয়ে,
তুমি তাড়াতাড়ি পড় ঘুমিয়ে!  

ওই যে ওখানে,
প্রবীণ কাছিম জোয়ারে জলের টানে,
এলো তোমার উঠানে,
তার শক্ত শরীরে কোমল শৈবাল,
ঘরে পোষা পুরাতন ঘ্রাণ!
কঠিন খোলস আলতো জড়িয়ে,
তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ মেয়ে,
কখন কে জানে!